অতি প্রাচীন না হলেও আমার জন্মের পূর্বেই ১৯৬০ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর প্রিয় দৈনিক আজাদী‘র অগ্রযাত্রা শুরু, আজাদী আজ ৬৫ বছরে পদার্পণ করলো–শুভ জন্মদিন প্রিয় আজাদী।
প্রাথমিক স্তর থেকে পত্রিকা পড়াটা আমার হবি অনেকটা নেশাও বলা যায়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে যখন পড়ছি সেটি আরো বেড়ে গেলো. সেই সময়ে ফুটপাতে হকাররা পাটাতনে দৈনিক পত্রিকা এবং সাময়িকীগুলো বিছিয়ে রাখতো আর পাঠক হিসেবে আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়তাম। তাই বন্ধুমহল আমাকে বলতো পাঠক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক এবং আমার এক বন্ধু স.ম সরোয়ারকে বলতো সভাপতি। অনুন্নত পরিবহন ব্যবস্থার কারণে তখন জাতীয় পত্রিকা সমূহ চট্টগ্রামে আসতো অনেক দেরিতে তাই ভোর বেলায় পাঠক হিসেবে প্রথমই আমি যে পত্রিকাটি হাতে নিতাম সেটি হচ্ছে প্রিয় ‘দৈনিক আজাদী’। এরপর ক্রমান্বয়ে আজাদী ভালোবাসায় জড়িয়ে গেলাম–পাঠক থেকে হয়ে গেলাম আজাদীর একজন লেখকও, এখন মাঝে মধ্যে আমার লেখাটিও সযত্নে ছাপায় দৈনিক আজাদী।
পত্রিকা প্রকাশ করা বড় বিষয় নয়, পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে পত্রিকার প্রকাশনা টিকিয়ে রাখাই মূল চ্যালেঞ্জ। প্রতিযোগিতাশীল এই সময়ে জাতীয় পত্রিকার সাথে পাল্লা দিয়ে দৈনিক আজাদী আজ চট্টগ্রামবাসীর কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। শুধু ছাপানো কাগজে নয়, প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে অনলাইনেও আজকে বিশ্বে সকল বাংলাদেশীদের কাছে আজাদী নির্ভরযোগ্য তথ্য বহুল দৈনিক সংবাদপত্র। প্রিয় আজাদীর ৬৫ বছরে রইলো প্রাণঢালা ভালোবাসা। পাঠকের চাহিদার সাথে মিলিয়ে আজাদী হয়ে উঠুক আরো সমৃদ্ধ।