প্রাণ ঝরলেই কি সরবে খুঁটি?

সল্টগোলা ক্রসিংয়ে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ

উন্নয়নে পাল্টাচ্ছে চট্টগ্রামের চিত্র। চট্টগ্রামের চলমান কয়েকটি প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম মেগাপ্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত বিমানবন্দর হতে লালখান বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ। পতেঙ্গার কাটগড় থেকে শুরু হয়ে বর্তমানে সল্টগোলা ক্রসিংয়ে চলছে এক্সপ্রেসওয়ের পিলার নির্মাণ। তবে সল্টগোলা রেলক্রসিং থেকে বারিকবিল্ডিং পর্যন্ত এখনো কাজ শুরু না হলেও বারিকবিল্ডিং মোড় থেকে আগ্রাবাদ পর্যন্ত শুরু হয়েছে প্রকল্পের কাজ। এখানে রাস্তার পাশে পুরনো বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো দ্রুততার সাথে সরানো হয়েছে। কিন্তু সল্টগোলা ক্রসিং থেকে ইপিজেড মোড় পর্যন্ত সড়কের মধ্যখানের খুঁটি সরানো হচ্ছে না। ইতোমধ্যে এক্সপ্রেসওয়ের পিলারের পাইলিং কাজ শেষ হয়ে মূল পিলারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এখানে রাস্তার মধ্যখানে বৈদ্যুতিক খুঁটির কারণে প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে দুর্ঘটনা ঘটছে। লোকজন আহত হচ্ছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন- প্রাণ ঝরলেই কি সরানো হবে এসব বৈদ্যুতিক খুঁটি?
সিমেন্ট ক্রসিং এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. আলাউদ্দিন বলেন, রাস্তার মাঝে ফ্লাইওভারের (এক্সপ্রেসওয়ে) পাইলিং হচ্ছে। তাই সড়কের দুই পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। আগের রাস্তা ফুটপাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের খুুঁটিগুলো সরানো হয়নি। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে ইপিজেডের শ্রমিক-কর্মচারীরা যাওয়ার সময় এখানে জ্যাম (যানজট) লেগে যায়। প্রতিদিন এসময় কোন না কোন দুর্ঘটনা ঘটছে। গত এক সপ্তাহে অনেকে আহত হয়েছে।’
মো. হারুন নামের এক ব্যক্তি বলেন, খুঁটির কারণে একটি বাস যেতে পারে। কিন্তু সকালে সবাই প্রতিযোগিতা দিয়ে গাড়ি চালায়। একবার আটকে গেলে অনেকক্ষণ যানজটে পড়তে হয় সবাইকে। তখন হাঁটাচলার জায়গাও থাকে না। তখন দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকেও উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
তবে পিডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, সড়কে বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর প্রক্রিয়ায় জটিলতা রয়েছে। আবার যেখানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয়েছে, সেখানের দুইপাশ সরু হয়ে গেছে। কোথাও একটির বেশি বাস যাওয়ার সুযোগ নেই। আবার খুঁটিগুলো সরানোর জায়গাও তেমন নেই। যে কারণে জটিলতা আরো বেড়েছে।’
পিডিবি দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামছুল আলম দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে অনেক স্থানের বৈদ্যুতিক খুঁটি ইতোমধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আগ্রাবাদ এলাকায়ও সরানো শেষ হয়েছে। আশা করছি, সল্টগোলা ক্রসিং এলাকার খুঁটিগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে সরানো সম্ভব হবে।’
প্রসঙ্গত, ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বিমানবন্দর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেকে প্রকল্পটি পাশ হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাইডেন প্রশাসনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জেইন সিদ্দিক
পরবর্তী নিবন্ধএরপর কী?