প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা বাণিজ্য বন্ধ করা হোক

| সোমবার , ২৪ নভেম্বর, ২০২৫ at ৭:১৬ পূর্বাহ্ণ

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য প্রাইভেট হাসপাতাল এবং বিশেষায়িত ক্লিনিক। যেগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। সরকারি হাসপাতালে তুলনামূলক অধিক রোগীর চাপ এবং বেড সংখ্যার স্বল্পতার কারণে রোগীদের ভরসাস্থল হয় বেসরকারি তথা প্রাইভেট হাসপাতাল। এছাড়া সরকারি হাসপাতালে নানান অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার কারণে সরকারি হাসপাতালে অনেক রোগী চিকিৎসা নিতে চান না। তাই তারা দ্বারস্থ হন প্রাইভেট হাসপাতালে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এসব হাসপাতালের চিকিৎসা খরচ মোটেও হাতের নাগালের মধ্যে নয়।

হাসপাতালেগুলোতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে রোগীদের উচ্চমূল্য পরিশোধ করতে হয়। অতিরিক্ত টেস্ট ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি, অপারেশন ফি এবং ঔষধপত্র ক্রয়ের খরচ সহ আনুষঙ্গিক খরচের বিশাল টাকা রোগীকে বহন করতে হয়। আর এসব ব্যয় মেটাতে গিয়ে অনেক রোগী সর্বস্বান্ত হতে হচ্ছে। তাছাড়া টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে অনেক সময় রোগীর মৃতদেহটা পর্যন্ত ফেরত দেওয়া হয় না এমন নজিরও আছে। পরিশেষে, চিকিৎসা সেবা একটি মহৎ পেশা। কিন্তু কালের পরিক্রমায় এটি যেন ব্যবসার রূপ পরিগ্রহ করেছে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। অন্তত মানবিকতার বিষয়টি মাথায় রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উচিত এ ব্যাপারে একটু নমনীয় হওয়া। সর্বোপরি হাসপাতালগুলোতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রশাসনের উচিত মনিটরিং কার্যক্রম চালু রাখা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

ওবায়দুল মোস্তফা শিবলী

শিক্ষার্থী,

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবীরেন্দ্রনাথ শাসমল : দেশপ্রেমে নিবেদিত প্রাণ
পরবর্তী নিবন্ধসম্প্রীতি হোক মানুষে মানুষে