প্রাইভেট ক্লিনিকের অনৈতিক ব্যবসা বন্ধে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা সুজনের

আইসিইউ-লাইফ সাপোর্টের ‘ফাঁদ’

| বৃহস্পতিবার , ২৪ আগস্ট, ২০২৩ at ১০:২১ পূর্বাহ্ণ

আইসিইউ, সিসিইউ, এইচডিও ও লাইফ সাপোর্টের ‘ফাঁদ’ থেকে রোগীদের বাঁচাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রাইভেট হাসপাতালের ‘অযৌক্তিক উল্লেখিত ফাঁদ’ বন্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এ সময় চসিক সাবেক প্রশাসক সুজন বলেন, নগরীতে অবস্থিত প্রাইভেট হাসপাতালক্লিনিকগুলো সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি জনগণের চিকিৎসা সেবায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে যে, দীর্ঘদিন ধরে কতিপয় প্রাইভেট হাসপাতালক্লিনিক রোগীর অসুস্থতাকে পুঁজি করে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তাদের কাছে সেবার চেয়ে ব্যবসাটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবতার মহান ব্রত নিয়ে তারা এ পেশায় আসলেও রোগীদের জিম্মি করে নিজেদের পকেট ভারী করাটাই এখন তাদের আসল উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, অকারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে অনেকেই নিঃস্ব হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব হাসপাতালক্লিনিকে রোগী ভর্তি হলেই তাকে অযথা আইসিইউ, সিসিইউ, এইচডিও এমনকি লাইফ সাপোর্টে ভর্তি করে দেওয়া হয়। অনেক সময় রোগীর অবস্থা খারাপ বলে তার স্বজনদের কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে লাইফ সাপোর্টে ভর্তি করানো হচ্ছে। পরবর্তীতে রোগীর ছাড়পত্রের সময় তাকে বিশাল অংকের একটি বিল ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীর স্বজনদের ভিটে মাটি বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে যা অত্যন্ত অমানবিক। রোগীকে এসব সেবা প্রদানের পূর্বে তার আর্থিক সক্ষমতাকে বিবেচনা করা হচ্ছে না। রোগীর স্বজনদের আবেগকে পুঁজি করে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালক্লিনিকগুলো সম্পূর্ণরূপে এ ধরনের অনৈতিক ব্যবসা করছে। আমরা বিভিন্ন সময় এসব প্রাইভেট হাসপাতালক্লিনিকগুলোকে সেবার মূল্য প্রকাশ্য স্থানে প্রদর্শনের অনুরোধ জানিয়ে আসলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেনি। এছাড়া ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায়ও রোগীর কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি সন্তান সম্ভবা নারীদেরকেও অহেতুক সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি এসব প্রাইভেট হাসপাতালক্লিনিকগুলোর আচরণের পরিবর্তন আনার অনুরোধ জানান। নচেৎ এসব হাসপাতালের নাম প্রকাশ্যে ঘোষণাসহ জনগণকে সাথে নিয়ে এদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি করা হবে বলে জানান তিনি। চট্টগ্রামের বিপুল সংখ্যক জনগণের স্বাস্থ্যসেবার কথা চিন্তা করে এসব প্রাইভেট হাসপাতালক্লিনিকগুলোর বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরকে কঠোর হস্তক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ জানান নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের রেড ক্রিসেন্ট জেলার ত্রাণ বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার