চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূইয়া বলেছেন, কাজের স্বীকৃতি না থাকলে কাজ করে আনন্দ পাওয়া যায় না। রাষ্ট্রের অন্যান্য বিভাগগুলোতে স্বীকৃতির প্রচলন রয়েছে। কিন্তু বিচার বিভাগ অবহেলিত ছিল। প্রধান বিচারপতি ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করে আমাদের কাজের স্বীকৃতি দিয়েছেন। প্রথমবারের মত প্রবর্তিত এ পদক পেয়েছেন মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা ও সিনিয়র সহকারী জজ মোছা. রেশমা খাতুন। আগে এ পদক ছিল না। সে হিসেবে তাঁরা ভাগ্যবান। বিচার বিভাগ, চট্টগ্রামের জন্য আজকের দিনটি আনন্দের। ভবিষ্যতে হয়তো অনেকে এ পদক পাবেন, কিন্তু প্রথম’র সাথে তুলনা হয় না।
সদ্য প্রবর্তিত প্রধান বিচারপতি পদক প্রাপ্ত মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা ও সিনিয়র সহকারী জজ মোছা. রেশমা খাতুন এবং নবনিযুক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের আইন কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূইয়া এসব কথা বলেন। প্রসিকিউশন, চট্টগ্রাম মহানগর এ সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অতিরিক্ত মহানগর পিপি কানু রাম শর্মা, সভাপতিত্ব করেন মহানগর পিপি আবদুর রশিদ। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা ও সিনিয়র সহকারী জজ মোছা. রেশমা খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, জেলা জিপি নাজমুল আহসান খান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোহাম্মদ হাশেম ও সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমি ও চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল আলমসহ অন্যান্য বিচারকবৃন্দ। সংবর্ধিত অতিথিদের ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা ও জেলা জজকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন মহানগর পিপি আবদুর রশিদ।
অনুষ্ঠানে জেলা আইনজীবী সমিতির আসন্ন নির্বাচনে আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বজলুর রশিদ মিন্টু ও সভাপতি প্রার্থী মনতোষ বড়ুয়াও বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর পাঁচটি ক্যাটাগরিতে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা তথা নিম্ন আদালতের বিচারকদের প্রধান বিচারপতি পদক দেওয়া হয়।