চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, প্রথমত আমি প্রশাসনিক কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবো। এছাড়া গবেষণা বৃদ্ধিসহ এই খাতে বিশেষ নজর দেব। শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রমে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করবো। নিয়োগ পাওয়ার পর এক টেলিফোন আলাপচারিতায় গতকাল দৈনিক আজাদীর কাছে এই মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ড. মো. আবু তাহেরকে চবির ১৯তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১২ (২) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ড. মো আবু তাহেরকে ভাইস–চ্যান্সেলর পদে সাময়িকভাবে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনাসহ উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের পদত্যাগের দাবিতে পরিচালিত নানা কর্মসূচি আর আন্দোলনের কারণে বছর জুড়েই আলোচনায় ছিল চবি। গতবছরের ৩ নভেম্বর উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হলেও নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় সপদে বহাল ছিলেন তিনি। নানা জল্পনা–কল্পনা শেষে মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে নতুন উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের নাম প্রকাশ করা হয়।
দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহেরের কাছে তার পরবর্তী পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পেয়েছি। ক্যাম্পাসে শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করার চেষ্টা করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং উন্নতির জন্য দেশি–বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কো–অপারেশন ও কোলাবেরেশন বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টা থাকবে।