ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তাপস মিত্রের আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে বাকলিয়া ডিসি রোড এলাকায় মৌসুমি বিল্ডিংয়ের পার্শ্ববর্তী নিজের বাসভবনে হঠাৎ পড়ে যান এই চিকিৎসক। মেহেদীবাগের বেসরকারি ম্যাঙ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আকস্মিক হার্ট অ্যাটাকে ডা. তাপস মিত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের প্রধান ডা. সাজ্জাদ মো. ইউসুফ। একই তথ্য দিয়েছেন রেডিওথেরাপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আলী আসগর চৌধুরীও। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তাপস মিত্রের মৃত্যু হয় বলে জানান তাঁর সহকর্মীরা।
স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন ডা. তাপস মিত্র। তাঁর এক সন্তান ক্লাস নাইন ও অপর এক সন্তান ক্লাস সিঙে অধ্যয়নরত। তাঁর স্ত্রী শিক্ষকতায় রয়েছেন। ডা. তাপস মিত্রের সহকর্মী ও ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে পুজোর উদ্দেশ্যে ফুল সংগ্রহ করতে ঘর থেকে বের হন তিনি। আগের রাতে বৃষ্টির দরুণ ভবনের নিচতলায় পানি জমেছিল। সেখানে হঠাৎ পড়ে যান তিনি। পরিবারের সদস্যরা সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে পৌঁছাতেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে বাড়ির নিচতলায় অকস্মাৎ পড়ে যাওয়ায় ডা. তাপস মিত্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসকের সহকর্মীরা। তাঁরা বলেছেন হার্ট অ্যাটাকেই ডা. তাপসের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, একজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের এভাবে অকাল মৃত্যুতে চট্টগ্রামের চিকিৎসক সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হঠাৎ করে ডা. তাপসের এভাবে চলে যাওয়া চট্টগ্রামের জন্য, দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন তাঁর সহকর্মীরা। রেডিওথেরাপি বিভাগের কয়েকজন সহকর্মী জানিয়েছেন, ডা. তাপস মিত্র প্রফেসর পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু প্রফেসর হওয়ার আগেই বিদায় নিলেন তিনি। গতকাল দুপুরে বলুয়ারদিঘি শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। তাঁর মৃত্যুতে বিএমএ, স্বাচিপসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।