মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর এ এস এম ফজলুল করিমের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের উদ্যোগে স্মরণসভা গতকাল সোমবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর অসীম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। স্মারক বক্তা ছিলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও বিএমডিসি’র সদস্য প্রফেসর ডা. ইমরান বিন ইউনুস। স্বাগত বক্তব্য দেন, মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও কার্যনির্বাহী কমিটির জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ। স্মরণসভায় অডিও বক্তব্য দেন, প্রফেসর এ এস এম ফজলুল করিমের বড় ছেলে ডা. আহমেদ জিয়া করিম। বক্তব্য দেন, হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান রানা, ট্রেজারার অধ্যক্ষ ড. লায়ন মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, মো. হারুন ইউসুফ, মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রফেসর এ এস এম মোস্তাক আহমেদ, পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. নূরুল হক, ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের পরিচালক ও নিওনেটলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. ওয়াজির আহমেদ, পরিচালক (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) ডা. এ কে এম আশরাফুল করিম, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. এম জালাল উদ্দিন প্রমুখ। প্রধান অতিথি এম এ মালেক বলেন, প্রফেসর এ এস এম ফজলুল করিম একজন কিংবদন্তিতুল্য চিকিৎসক। তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালর স্বপ্নদ্রষ্টা ও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সাথে আমরা এই হাসপাতালের উন্নয়নে দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করেছি। এই হাসপাতালর উন্নয়নে তার অবদান অপরিসীম। চট্টগ্রাম বাসী তার এই অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে আজীবন স্মরণ রাখবে। তিনি আরো বলেন, যেকোনো ভালো কাজ বা ভালো কোনো উদ্যোগ কাউকে না কাউকে শুরু করতে হয়। করিম সাহেবেরা এই হাসপাতাল শুরু করেছেন বলেই আজ এটি বিশাল মহীরুহ হিসেবে রূপ লাভ করেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য আমরা মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকার অধিক অনুদান সংগ্রহ করেছি। আমি দেশ–বিদেশে যেখানেই গিয়েছি সেখানেই ক্যান্সার হাসপাতালের কথা বলেছি এবং অনুদান সংগ্রহ করেছি। আজ এটি চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি বিরাট সম্পদ। চট্টগ্রামের ক্যান্সার রোগীদের এখন আর ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের বাইরে যেতে হয় না।
চট্টগ্রামে বসেই স্বল্প খরচে এই ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ক্যান্সার মেশিন কেনার জন্য ব্যাংক থেকে যে লোন নেয়া হয়েছে তা সংগ্রহ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। প্রসঙ্গত তিনি উল্লেখ করেন, ক্যান্সার হাসপাতালে তিনি তার মায়ের নামে একটি ফ্লোর দিয়েছেন। তিনি প্রফেসর করিমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন একই সাথে তার সহধর্মিনী ডা. সাহেদা করিমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারাহনাজ মাবুদ সিলভি। এ উপলক্ষে মা ও শিশু হাসপাতাল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।











