প্রধানমন্ত্রীর শপথে শামিল হলেন ক্রিকেট পরিবারও

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনের অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শপথ পাঠ করান বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশজুড়ে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শপথে শামিল হয় ক্রিকেট পরিবার। গত বৃহষ্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শপথ অনুষ্ঠানে ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান, বোর্ড পরিচালকদের অনেকে ও বোর্ডের কর্মকর্তাগণ, শহীদ ক্রিকেটার আব্দুল হালিম খান জুয়েলের বড় বোন সুরাইয়া খানম, সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান, বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, মেয়েদের জাতীয় ক্রিকেট দলের বেশ কজন, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা, হুইলচেয়ার ক্রিকেট দলের কয়েকজন এবং ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট আরও অনেকে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন, তাতে ওপরের দিকে আছে ক্রিকেট। যদিও প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির ফারাক এখনও অনেক। তবু এই খেলা দেশকে এনে দিয়েছে গৌরবের অনেক মুহূর্ত। বিশ্বের অনেক দেশে বাংলাদেশের বড় পরিচয়ের জায়গাও ক্রিকেট। প্রতিবারের মত এবারেও বিজয় দিবসের প্রদর্শনী ক্রিকেট ম্যাচকে ঘিরে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ছিল উৎসবের আবহ। ম্যাচে শহীদ মুশতাক একাদশ ৪২ রানে হারায় শহীদ জুয়েল একাদশকে।
আব্দুল হালিম চৌধুরি জুয়েল ছিলেন স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। আজাদ বয়েজ ক্লাবে খেলতেন। দারুণ মারকুটে ব্যাটসম্যান ছিলেন। ১৯৭১ সালের ৩১ মে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যান ভারতে। ট্রেনিং নিয়ে দেশে ফিরে দুর্ধর্স ক্রেক প্লাটুনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন। ২৯ আগস্ট পাকিস্তানি বাহিনী জুয়েলকে ধরে নিয়ে আসে ক্যাম্পে। পরে ৩১ আগস্টের পর আর তাকে পাওয়া যায়নি। মুশতাক ছিলেন ক্রিকেট সংগঠক। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর তিনি ঢাকায় এসেছিলেন।
সংগঠক হিসেবে পরিচিতি ছিল অনেক। আজাদ বয়েজ ক্লাবের জন্য দিন-রাত একাকার করতেন তিনি। ক্লাবই ছিল তার সংসার। সেই সময়ের অনেক ক্রিকেটারের আশ্রয় ছিলেন তিনি। অনেককে দিয়েছিলেন সুযোগ। ২৫ মার্চের কালো রাতেই পাকিস্তানিরা হত্যা করে মুশতাককে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিস ওয়ার্ল্ডের ফাইনাল স্থগিত
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ার পদুয়ায় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট সম্পন্ন