প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ও প্রাসঙ্গিক সফলতা

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

| শনিবার , ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৪:৩১ পূর্বাহ্ণ

এটি সর্বজনবিদিত যে, এই উপমহাদেশে ধর্মান্ধ জনগোষ্ঠী সৃষ্ট সাম্প্রদায়িকতার অপসংস্কৃতির বিস্তার কলুষিত রাজনীতির অন্যতম বাহন হিসেবে এখনও চলমান রয়েছে। বাংলাদেশে একশ্রেণির বর্ণচোরা-অর্বাচীন কথিত রাজনীতিক সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের লক্ষ্যে দল-উপদলের পক্ষ থেকে বৈরী আবহ তৈরিতে ভারত বিরোধী প্রচারণাকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে। সচেতন মহলের কাছে সর্বক্ষেত্রে এটি অগ্রহণযোগ্য হলেও অনেকাংশে অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত-কুশিক্ষিত-অসচেতন ব্যক্তিবর্গের মনস্তত্ত্বে তার প্রভাব নেহায়েত কম নয়। এটি অবশ্যই স্মরণযোগ্য ১৯৭১ সালে ভারতের তৎকালীন মান্যবর প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ও তাঁর সরকারের কূটনৈতিক-মানবিক সহায়তা, ভারতের সকল নাগরিকের অকুন্ঠ সমর্থন ব্যতিরেকে মহাকালের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন মাতৃভূমি প্রতিষ্ঠা দুরূহ ব্যাপার ছিল। মুক্তির এই আসাদন প্রেক্ষাপটে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর নিরলস জ্ঞানাঙ্কুর পরিশ্রম বিশ্ব ইতিহাসের বর্ণালী অধ্যায়ে প্রজ্বলিত। শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর প্রত্যক্ষ পক্ষাবলম্বন মুজিবনগর সরকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অফুরন্ত অনুপ্রেরণায় শুধু ঋদ্ধ করেননি; পাকিস্তানি হায়েনাদের বিরুদ্ধে চৌকস অভিযান পরিচালনায় দক্ষ-প্রশিক্ষিত মুক্তিবাহিনীর সকল রসদ যুগিয়ে বাঙালি জাতিকে চিরঋণী করে রেখেছেন। ধারাবাহিকতায় অতীতে ভারতের প্রত্যেক সরকার ও বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুই দেশের সুসম্পর্ক অব্যাহতভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে। ১৬ই ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে ভারতের সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘বিশ্বাস ও বন্ধুত্বের শক্তিতে আবদ্ধ বাংলাদেশ-ভারত। গত এক দশকে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, যা দেশের নাগরিকদের পূর্ণ সম্ভাবনা বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি করেছে। ভৌগোলিক সুবিধা ও বাংলাদেশের চমৎকার অর্থনৈতিক সাফল্য সমগ্র উপ-অঞ্চল ও বিশ্বকে উপকৃত করতে পারে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একটি ক্রমবর্ধমান ধারণা রয়েছে; ঘনিষ্ঠ উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সংযোগ স্বল্প সময়ের মধ্যে সোনার বাংলা গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।’
মূলত স্বাধীন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের সূচনাপাঠ হয়েছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে। ১৯৭২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চিরদিন অটুট থাকবে। বিশ্বের কোনো শক্তিই পারবে না এই মৈত্রীতে ফাটল ধরাতে।’ ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক সুদৃঢ় এবং সহযোগিতার নবদিগন্ত উম্মোচিত হয়। উক্ত সফরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২৫ বছর মেয়াদী বন্ধুত্ব-শান্তি-সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু গঙ্গা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক নদীর সুষম পানি বন্টন ও ছিটমহল হস্তান্তরের প্রশ্ন উত্থাপন করেন। ১৯৭৪ সালে ভারতের সঙ্গে ছিটমহল ও সীমানা চুক্তি স্বাক্ষরের ভিত্তিতে ২০১৫ সালে ১৬২টি ছিট মহল বিনিময়ের মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার নাগরিকের জাতীয়তা নির্ধারিত হয়। বঙ্গবন্ধুর আগ্রহ ও শক্তিশালী ভূমিকার জন্য ১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসে ফারক্কা বাঁধসংক্রান্ত অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি স্বাক্ষর হয়। যেটির উপর ভিত্তি করে ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ভারতের সঙ্গে ফারাক্কার পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ২০১১ সালে সম্পাদিত হয় বাংলাদেশ-ভারত তিন বিঘা করিডোর চুক্তি। শেখ হাসিনা সরকারের অপরিমেয় কূটনৈতিক সাফল্যে ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সমুদ্রসীমা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
সম্প্রতি বন্ধু প্রতীম দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চলতি মাসে ভারত সফর করেছেন। এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যেকার সম্পর্কে নবতর অধ্যায় রচিত হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় এই সফরটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্ব-তাৎপর্যপূর্ণ। সফরকালীন সময় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যু, জ্বালানি, অভিন্ন নদীর পানিবন্টন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা, সম্ভাব্য অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি দুই দেশের অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্ব পায়। স্বাক্ষরিত হয়েছে সাতটি সমঝোতা স্মারক। সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে- সুরমা ও কুশিয়ারা প্রকল্পের অধীনে কুশিয়ারা নদী থেকে বাংলাদেশ কর্তৃক ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহার, ভারতের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (সিএসআইআর) সঙ্গে বাংলাদেশের সিএসআইআরের মধ্যে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে ভারতের ভোপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমির মধ্যে সমঝোতা স্মারক, ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম ‘প্রসার ভারতী’র সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মধ্যে সমঝোতা, মহাশূন্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা, ভারতের রেলওয়ের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোতে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্যপ্রযুক্তিগত সহযোগিতা অন্যতম।
সফরসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিবিধ বিষয়ে আলোচনা এবং কোভিড-১৯ অতিমারি ও বৈশ্বিক বর্তমান সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে পণ্যের সরবরাহব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ অঞ্চলের অব্যাহত সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের স্বার্থে বন্ধুত্ব-আংশীদারিত্বের অবিনাশী চেতনায় ব্যাপকতর সহযোগিতার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বৈঠকে সীমান্তে প্রাণহানির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয় এবং সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে সরকার প্রধানগণ সম্মত হয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়া এবং এর বাইরে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-মৌলবাদের বিস্তার রোধে জোরালো অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়। বৈঠক শেষে প্রচারিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে রাজনীতি, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য, সংযুক্তি, পানিসম্পদ, উন্নয়ন-সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক, জনগণের মেলবন্ধনসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সকল বিষয়ে যৌক্তিক দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়েছে। চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ভারত নিজেদের জোগানের বিষয়টি বিবেচনায় ইতিবাচক আশ্বাস এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য রপ্তানি বন্ধের আগে বাংলাদেশকে আগাম বার্তা দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে।
৭ সেপ্টেম্বর ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) যৌথভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের অবকাঠামো, উৎপাদন, জ্বালানি ও পরিবহণ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ভারতীয় বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সময়-খরচ বাচিয়ে বাই-ব্যাক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন করতে পারে। বাংলাদেশে এই অঞ্চলের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে বিস্তৃত সুযোগ-সুবিধা, আকর্ষণীয় প্রণোদনা নীতি এবং ধারাবাহিক সংস্কার প্রক্রিয়ার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে শিল্প, কর্মসংস্থান, উৎপাদন-রপ্তানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বিনিয়োগ এবং দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২৮টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য মোংলা এবং মিরেরসরাইয়ে দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। আমি আজ এখানে উপস্থিত ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি দুই বন্ধু প্রতীম দেশের সদিচ্ছাকে কাজে লাগানোর পথকে আরও প্রশস্ত করবে এবং এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনবে। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশের সুবিধাজনক অবস্থানের কারণে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা তাদের পণ্য শুধুমাত্র ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতেই নয়; নেপাল-ভুটান এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও রপ্তানি করতে সক্ষম হবেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং যুদ্ধাহত ভারতীয় সৈনিকদের পরিবারের সন্তানদের ‘মুজিব স্কলারশিপ’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন কৌশলগত অংশীদারিত্বের উর্ধ্বে চলে গেছে এবং গত কয়েক দশকে তা আরও জোরদার হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘গত ৫০ বছরে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব তৈরি করে উভয় দেশ ক্রমবর্ধমান বিস্তৃত খাতভিত্তিক সহযোগিতার জন্য কাজ করছে। সামুদ্রিক ও স্থল সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী জটিলতার সমাধান তারই সাক্ষ্য বহন করে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন বিশ্বব্যাপী প্রতিবেশি কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের যেসব ভারতীয় ভাই জীবন উৎসর্গ করেছেন, রক্ত দিয়েছেন, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। জীবন উৎসর্গকারী সেই সব সাহসী বীরদের স্মরণ করা আমাদের জন্য গর্বের। সেসব সাহসী বীরদের অভিবাদন জানাই।’ তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের তরুণদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। বীরযোদ্ধাদের বংশধররা তাদের পূর্বপুরুষদের মতো বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের দূত হিসেবে কাজ করছে বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন। সর্বশক্তিমানের নিকট নতুন প্রজন্মকে আশীর্বাদ করে বলেন, তারা আগামী ৫০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে বন্ধুত্বের মশালকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
বিজ্ঞ কূটনীতিক ও বিশ্লেষকদের দাবী, প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরে জ্বালানি ও পানি বন্টনে বেশিমাত্রায় সাফল্য এসেছে। পাশাপাশি রেলের আধুনিকীকরণে যে সমঝোতা হয়েছে তাতেও বাংলাদেশের জনগণ লাভবান হবে। তৃতীয় দেশে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির জন্য বিনা মূল্যে ট্রানজিট এই সফরের একটি প্রধান অর্জন এবং এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে উপকৃত করবে। এবার ভারত যেভাবে বাংলাদেশকে বিনা শুল্কে ট্রানজিট দিয়েছে, তাতে কানেকটিভিটির ক্ষেত্রে যে যুগান্তকারী অগ্রগতি হয়েছে তা আঞ্চলিক বাণিজ্যে একটি সুদূরপ্রসারী ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও তাঁর নেতৃত্বাধীন অদম্য অগ্রগতিতে অগ্রসরমান বর্তমান সরকার বহুমুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে অধিকতর ব্যঞ্জনা যুগিয়ে যাচ্ছেন। ১৪ সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুরো জাতিকে সমুদয় বিষয় সমূহ অবহিতকরণে কথিত বিরোধীতাকারীদের অপকৌশল নিধন করতে সক্ষম হয়েছেন। অধিকন্তু সম্ভাব্য সকল সংশয়-অপপ্রচার রোধে সত্য-বস্তুনিষ্ঠ বার্তা প্রকাশ অসাধারণ উৎসসূত্রে রূপান্তরিত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিবারের মতো সাম্প্রতিক ভারত সফরও উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে অনন্য মাইলফলক স্থাপনে পরিপূর্ণ সার্থক ও সফল হয়েছে- নিঃসন্দেহে এই দাবিটুকু কোনভাবেই অযৌক্তিক বা অমূলক নয়।

লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধমায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যা