চট্টগ্রামের পরীর পাহাড় থেকে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেছেন, চট্টগ্রামের পরীর পাহাড় তো আর পরীর পাহাড় নেই। পেত্নির পাহাড় হয়ে গেছে। সকাল ৯টা ১০টার দিকে কোন ভদ্রলোক এখানে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জজ সাহেব, কিংবা বিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে দেখা করতে আসতে চাইলে ভদ্রভাবে আসতে পারবেন না। গাড়ি নিয়ে আসতে পারবেন না। হেঁটে আসতে হবে। ঠিকভাবে হেঁটেও আসা যায় না। ভয়াবহ এক বিশৃংখল অবস্থা পরীর পাহাড় জুড়ে।
দিনে দিনে পরীর পাহাড় ইট পাথরের জঞ্জাল হয়ে উঠার কথা উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করা হবে। এখানের পরিবেশ এবং প্রকৃতি রক্ষা করতে আমরা প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেবো। তিনি বলেন, পরীর পাহাড়ের পরিবেশ সুন্দর এবং সবার জন্য ভালো রাখার জন্য আমরা সবাই মিলেমিশে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, পরীর পাহাড় একটি ঐতিহ্যবাহী পাহাড়। এখানে আমি যে ভবনটিতে বসি সেটি দেড়শ’ দুইশ’ বছর আগের একটি ঐতিহ্যবাহী ভবন। এটি কিন্তু দোতলা। ব্রিটিশদের টাকা পয়সার অভাব ছিল না। তারা চাইলে এখানে তিন চার তলা ভবনও করতে পারতো। ওই সময় হাইরাইজ ভবন করার প্রযুক্তি না থাকলেও তিন চার তলা ভবন করার প্রযুক্তি ছিল এবং ব্রিটিশরা বিভিন্ন জায়গায় তিন চার তলা পর্যন্ত ভবন করেছে। তাহলে এখানে করেনি কেন প্রশ্ন উত্থাপন করে বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ব্রিটিশেরা পরীর পাহাড় সৌন্দর্যের ব্যাপারে সচেতন ছিলেন। তারা এই পাহাড় কতটুকু ভার নিতে পারবে তা নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, বিবেচনা করেছিলেন। কিন্তু আমরা করছি না। চট্টগ্রামের মানুষের জন্যই পরীর পাহাড়কে সুন্দর রাখা জরুরি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
