পশ্চিমবঙ্গে টানা তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করতে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের দারুণ জয়ে ভারতের নানা প্রান্ত থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পেলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে এখনও ফোন পাননি বলে জানিয়েছেন মমতা। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, এই প্রথম দেখলাম প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেন না। হয়তো উনি ব্যস্ত। আমি কিছু মনে করিনি।
আট দফায় ভোট গ্রহণ শেষে রোববার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। মোট ২৯২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ২১৩টি এবং বিজেপি ৭৭টি আসনে জয়লাভ করেছে। ফল ঘোষণার দিনই তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর মমতাকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেন মোদী। মমতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী তাকে ফোন না করলেও তিনি তার টুইট দেখেছেন।
এদিকে তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামীকাল বুধবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মমতা। ৬ মে থেকে নবনির্বাচিত বিধায়করা শপথ নেবেন। খবর বিডিনিউজের।
পশ্চিমবঙ্গের দখল নিতে এবার মোদীর দল বিজেপি বেশ জোরেশোরেই নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিল। খোদ মোদী এবং তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মিলে পশ্চিমবঙ্গে ৫০টির মত নির্বাচনী সমাবেশ ও মিছিল করেছেন। অনেক অর্থও খরচ করেছেন। মমতা বলেন, কেন্দ্রের দখল থাকলেও বিজেপি শাহেনশাহ নয়। বাংলার মানুষ তাদের তাদের জায়গা দেখিয়ে দিয়েছে। বাংলার মানুষকে এই অধঃপতন রুখতেই হতো….তাদের মেরুদণ্ড সোজা।
বিজেপির আবারও টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাইবে বলে অভিযোগ তুলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের উদ্দেশে মমতা বলেন, তাদের অর্থ নিন কিন্তু ভোট নিজের ইচ্ছা মত দিন। বাংলা ভারতকে রক্ষা করেছে। এটা গণতন্ত্রের জয়। তারা বলেছিল, তারা দুইশর বেশি আসনে জিতবে। কিন্তু তারা ধ্বংস হয়ে গেছে। বাংলার মানুষ বিজেপির অহংকারকে চূর্ণ করে দিয়েছে।
দল বড় জয় পেলেও মমতা নিজে নন্দীগ্রাম আসনে তার এক সময়ের ডানহাত শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গেছেন। গত বছর ডিসেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে নন্দীগ্রাম আসন থেকে জিতেছিলেন শুভেন্দু। এবার তিনি মমতাকে হারানোর চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন এবং মমতা তার সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে কলকাতায় নিজের আসন ছেড়ে নন্দীগ্রাম আসনে প্রার্থী হন।












