বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা পেশাদারদের আন্তর্জাতিক সংস্থা–সিএফএ ইনস্টিটিউটের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুৎফে সিদ্দিকীকে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিষয়–সংক্রান্ত বিশেষ দূত পদে থাকাকালীন লুৎফে সিদ্দিকী উপদেষ্টা পদমর্যাদায় বেতন–ভাতা ও আনুষাঙ্গিক সুযোগ–সুবিধা পাবেন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলা হলেও বিশেষ দূত হিসেবে লুৎফে সিদ্দিকীর দায়িত্বের মেয়াদ নিয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু বলা হয়নি। খবর বিডিনিউজের।
লুৎফে সিদ্দিকী চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সন্তান। তার বাবা এ ওয়াই বি আই সিদ্দিকী ১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০০ সালের ৭ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ছিলেন। সিএফএ ইনস্টিটিউটের রিজিয়নস ও সোসাইটি রিলেশন বিষয়ক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব ছিলেন লুৎফে সিদ্দিকী। এই সংস্থার সিনিয়র পদে দায়িত্ব পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি তিনি। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সের ভিজিটিং প্রফেসর এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে অ্যাডজাংক্ট প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন লুৎফে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্ক থেকে লুৎফে সিদ্দিকী ইকোনমেট্রিঙে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে ইকোনমিঙে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার কাজে সহযোগিতার জন্য একজন সচিব ও আরেকজন উপদেষ্টা পদমর্যাদায় বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে এবারই প্রথম বিশেষ দূতের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন এল।
২৮ আগাস্ট সচিব পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক মো. মাহফুজ আলমকে। ২৪ আগস্ট অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল হাফিজকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক দায়িত্ব পালনে প্রধান উপদেষ্টাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবেন। আবদুল হাফিজ উপদেষ্টার পদমর্যাদা, বেতন–ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ–সুবিধা পাবেন।