কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এক নারীকে অপহরণের পর হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম আশিক ও তার সহযোগী মেহেদী হাসান বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ডে এনেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
অভিযোগের বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল মামলার তদন্তকারী সংস্থা কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ। শুনানির পর আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
মামলার শুনানিকালে আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক ও তার সহযোগী মেহেদী হাসান বাবুকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। আদালত রিমান্ডের আদেশ দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক কার্য সম্পাদন শেষে তাদেরকে নিয়ে যায় মামলার তদন্তকারী সংস্থা কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ।
পর্যটক দাবিদার এক নারী দাবি করেছেন, গত ২২ ডিসেম্বর বুধবার রাতে শহরের সন্ত্রাসী আশিক তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে র্যাব অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের হোটেল জিয়া গেস্ট ইন থেকে তাকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী মামুন মিয়া বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মোট সাতজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ।
আলোচিত এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা হলো আশিকুর ইসলাম আশিক, ইস্রাফিল হুদা ওরফে জয়, মেহেদী হাসান ওরফে বাবু এবং রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।
তাদের মধ্যে ঘটনার রাতেই জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে এবং গত ২৬ ডিসেম্বর মাদারীপুর থেকে প্রধান অভিযুক্ত আশিককে গ্রেফতার করে র্যাব।
এছাড়া মামলার তদন্তকারী সংস্থা ট্যুরিস্ট পুলিশ এজাহারভুক্ত অপর আসামি ইস্রাফিল হুদা ওরফে জয় ও মেহেদী হাসান বাবু ছাড়াও রেজাউল করিম, মামুনুর রশীদ ও মেহেদী হাসান নামের আরো তিন আাসামিকে এ মামলায় গ্রেফতার করে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, এই মামলায় ইতোমধ্যে ৭ আসামির সকলেই গ্রেফতার হয়েছে এবং তাদের মধ্যে আশিক ও মেহেদী হাসান বাবু ছাড়া বাকী আসামীদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে এনে ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।