দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরকারি ছুটির দিনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১ টার আগ থেকে নেটে ফলাফল পাওয়া যাচ্ছিল। ফল প্রকাশের পর দলে দলে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে জড়ো হতে থাকে। নগরীর প্রতিটি স্কুলে উচ্ছ্বসিত ছাত্রছাত্রীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা যায়। নগরীর ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে বেলা ১১টা নাগাদ বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি দেখা যায়। ছুটির দিনের স্বাভাবিক আবহ ভেঙে শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। বিপুল সংখ্যক অভিভাবকও এইসময় শিক্ষার্থীদের সাথে এসে উৎসবে সামিল হন।
কয়েকজন শিক্ষক জানান, প্রত্যাশিত ফলাফল হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত। ছুটির দিনের কোনও চিহ্ন ছিল না কোথাও। তবে বেলা কিছুটা চড়ার সাথে সাথে জুমার নামাজের জন্য ফেরার একটা তাড়াও দেখা গেছে। নগরীর বাওয়া স্কুল মাঠেও একই চিত্র দেখা গেছে। ছুটির দিন হলে রাস্তায় জ্যাম লেগে যায়। ফলাফলের উৎসবে সামিল হতে আসা ছাত্রীদের গাড়ির জটলা সামলাতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়। সব থেকে ভালো ফল করা নগরীর কলেজিয়েট স্কুলের দৃশ্য ছিল একেবারে অন্যরকম। কলেজিয়েট স্কুল থেকে এবার অংশ নিয়েছে ৪৭২ জন। এরমধ্যে জিপিএ–৫ পেয়েছে ৪১০ জন। পাসের হার ৯৯.৭৯। স্কুলে ফল ঘোষণার আগে অনেকেই রেজাল্ট পেয়ে যায় ইন্টারনেটে। শুধু উচ্ছ্বাস করতে স্কুলে ছুটে আসা শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে কলেজিয়েট স্কুলের প্রাত্যহিক দৃশ্য পাল্টে যায়। সন্তানদের সাথে নিয়ে আসা একাধিক অভিভাবক বলেছেন, তারা উৎসব করছে। পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে নাচানাচি করছে। এই দৃশ্য দেখতেও ভালো লাগছে। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবারই আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করে। এবারও ভালো করেছে। এই ফলাফল আমাদের প্রত্যাশিত। ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। এই স্কুলও অনেক ভালো ফলাফল করেছে। শুধু ভালো স্কুলগুলোতেই নয়, কিছুটা পিছিয়ে থাকা স্কুলেও পাস করা ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের সময়কে দারুণভাবে উপভোগ করেছে।