সেনা অভ্যুত্থানের পর গ্রেপ্তার মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে প্রথমবারের মত সশরীরে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তার আইনজীবী তায়ে মঙ মঙ রয়টার্সকে বলেছেন, সোমবার নেপিডোর আদালতে হাজির করার সময় সু চিকে দেখে সুস্থই মনে হয়েছে। শুনানির আগে সু চি তার আইনজীবীদের সঙ্গে আধা ঘণ্টার মত মুখোমুখি বৈঠকও করেছেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির দল এনএলডি সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় সু চিকে। প্রথমে তার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও পরে জানা যায় তাকে তার নেপিডোর বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া বয়সী সু চি ছাড়াও প্রায় চার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই অভ্যুত্থানের পর থেকে। খবর বিডিনিউজের।
সু চির বিরুদ্ধে দুটি আদালতে কয়েকটি মামলা করা হয়েছে, যেগুলোর বেশিরভাগই ছোটখাট অভিযোগে। সু চির বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগটি করা হয়েছে ঔপনিবেশিক আমলে তৈরি ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ এর আওতায়, যেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এর আগের শুনানিগুলোতে ৭৫ বছর বয়সী সু চিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এমনকি আইনজীবীদের সঙ্গেও তাকে সরাসরি দেখা করতে বা কথা বলতে দেওয়া হচ্ছিল না। সেনাসদস্যদের উপস্থিতিতে কেবল ভিডিও কলের মাধ্যমে তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে পারছিলেন।