প্রথম সিজারিয়ান অপারেশনে জন্ম কন্যাশিশুর, খরচ মাত্র ৮ টাকা

কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র

কাপ্তাই প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৭ নভেম্বর, ২০২৪ at ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ

কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গতকাল বুধবার মাত্র ৮ টাকা খরচে প্রথমবারের মতো এক প্রসূতি রোগীর সিজারিয়ান অপারেশনে একটি কন্যা শিশুর জন্ম হয়েছে। শিশুটির জন্মের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন হাসপাতালে আসেন। তিনি প্রসূতি রোগীর সাথে দেখা করেন এবং নবজাতক কন্যা শিশুর মুখ দর্শন করেন। সুস্থভাবে সিজারিয়ান অপারেশন করতে পারায় তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সকল চিকিৎসক এবং নার্সদের অভিনন্দন জানান। সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুইহ্লা অং মারমা বলেন, উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নের দুর্গম চাকুয়া পাড়ার বাসিন্দা মংচিং মারমা তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী ইম্রা চিং মারমাকে গত ১ নভেম্বর সরকারি এই হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু স্বাভাবিভাবে সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা না থাকায় রোগীকে সিজারিয়ান অপারেশন করানোর প্রয়োজন হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে সফলতার সাথে সিজারিয়ান অপারেশন করানো হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ওমর ফারুক রনি সিজারিয়ান অপারেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন।

ডা. ওমর ফারুক রনি বলেন, আমরা অত্যন্ত খুশি প্রথম বারেরমত কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সফলতার সাথে সিজারিয়ান অপারেশন করানো সম্ভব হয়েছে। এই অপারেশন বাইরের কোন হাসপাতাল করতে হলে কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা খরচ করতে হতো। কিন্তু কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীকে ভর্তি ফি বাবদ মাত্র ৮ টাকা প্রদান করতে হয়েছে। এছাড়া অপারশেন পর্যন্ত রোগীকে আর কোনো টাকা খরচ করতে হয়নি। রোগীর সিজার অপারেশন করান গাইনী কনসালটেন্ট ডা. তাফিকুর নাহার। অ্যানেসথেসিয়ায় ছিলেন ডা. হুছাইনুল করিম মামুন এবং ডা. আফতাব।

তিনি বলেন, সফলতার সাথে সিজার অপারেশন করতে পারায় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সকল চিকিৎসক, নার্স এবং সর্বস্তরের কর্মচারী আনন্দিত। খুশির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুইহ্লা অং মারমা ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাসপাতালে উপস্থিত সকলকে মিষ্টি মুখ করান। এখন থেকে যে কোন ধরণের রোগীকে সুচিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসার জন্যও তিনি সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহবান জানান।

হাসপাতালে উপস্থিত নবজাতকের খালা ইমু চিং মারমা বলেন, অনেক টাকা খরচ করে রোগীকে বড় কোন হাসপাতাল নেওয়া এই পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিলনা। মাত্র ৮ টাকা খরচ করে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সন্তান প্রসব করাতে পেরে রোগীর সকল স্বজনরা সন্তোষ প্রকাশ করেন বলেও তিনি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন
পরবর্তী নিবন্ধএক মাস পর বান্দরবানে আজ খুলছে পর্যটনের দুয়ার