গত ২৫ নভেম্বর শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন। তবে নির্বাচন শেষ হলেও এর রেশ যেন রয়ে গেছে। এ যেন শেষ হয়েও হইলনা শেষ। ২৫ নভেম্বর নির্বাচন শেষ হওয়ার পর এই নির্বাচন নিয়ে চলছে কাটাছেড়া। এরই মধ্যে নির্বাচন এবং কাউন্সিলর বঞ্চিত হওয়া মাদারবাড়ি মুক্তকন্ঠ ক্লাবের তিন প্রতিনিধি দিদারুল আলম চৌধুরী, এম এ মুছা বাবলু, আশরাফুজ্জামান আশরাফ তাদের প্রতিনিধিত্ব এবং নির্বাচনে প্রার্থীতা হারানোর বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দাখিল করে সুপ্রিম কোর্টের এফিলেড ডিভিশনে। আদালত পিটিশন দাখিলকারীদের আবেদন গ্রহন করে তার উপর শুনানী করে।
এরপর রায় প্রদান করে যে, গত ২৩ নভেম্বর যে রায় প্রদান করা হয়েছিল তাদের বিপক্ষে তা স্থগিত করার পাশাপাশি চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন পরবর্তী কার্যক্রমের উপর ৮ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ প্রদান করে। যার ফলে নির্বাচন শেষ হওয়ার চারদিন পেরিয়ে গেলেও প্রথম সভায় বসতে পারেনি নির্বাচিতরা। গতকাল প্রথম সভার দিন ক্ষন ঠিক থাকলেও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সরকারী কৌশলীর কাছ থেকে একটি মতামত নিয়ে তবেই সভা করতে বলেছেন বলে জানিয়েছেণ সংস্থার এক শীর্ষ কর্মকর্তা। যেহেতু বিষয়টা আদালতের তাই একটু ভেবে চিন্তে কাজ করতে হবে। হুট করে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবেনা। তবে গতকালের সভাটি আবার কবে হবে সে ব্যাপারে কোন কিছু জানাতে পারেনি ঐ কর্মকর্তা। ফলে জয়ের পরও অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নব নির্বাচিত কর্মকর্তাদের।
এতদিন এই মামলায় দুটি পক্ষ ছিল। এখন তিনটি পক্ষ হয়ে গেছে। মাদারবাড়ি মুক্তকন্ঠ ক্লাবের দুপক্ষ সে সাথে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থাও। যেহেতু এই সংস্থার সকল কার্যক্রম ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তবে এই রায়ের বিপক্ষে আপিলের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক আইনজীবি। তবে সেক্ষেত্রে শুনানী হতে পারে ফুল বেঞ্চে। তবে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন বা ফলাফল বাতিল করতে হলে আরেকটি রিট করতে হবে। তবে এই মামলার বাদি সে পথে হাটবেন কিনা তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে বাদি পক্ষের কেউই কোন কিছু বলতে চাননি। দীর্ঘ দিন পর চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গানে উৎসবের সৃষ্টি হয়েছিল। প্রার্থী এবং ভোটার সবার মধ্যে ছিল উৎসবের আমেজ। নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত সে আমেজ বজায় ছিল। কিন্তু নির্বাচনের আগের রাতে সব উৎসব মাটি হয়ে যায়। দিন শেষে উৎসব রূপ নেয় ক্ষোভে। যারা আনন্দচিত্তে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল তারা অভিযোগ করতে থাকে ষড়যন্ত্রের। ফলে দীর্ঘ দিন পর চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনে আবার মামলা নামক কালো থাবার আবির্ভাব ঘটে। এখন কবে আবার সে কালো থাবা থেকে মুক্ত হবে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে গতকাল বেশ কয়েকজন সিনিয়র কাউন্সিলর বলেন এসব ক্রীড়াঙ্গনে রাজনীতিকরনের কুফল। যারা এই সুন্দর আয়োজনকে নস্যাত করে দিয়েছে তাদেরকেই দায়ি করছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলরা।