এ মাসেই অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে দলগুলোর চলছে সবশেষ প্রস্তুতি। প্রায় সবকটা দলই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত। তবে বাংলাদেশ দল প্রস্তুতির সুযোগটা একটু ভালই পেল। কারণ বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের মত দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়েছে। আজ থেকে নিউজিল্যান্ডে শুরু হচ্ছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। প্রথম দিনেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এখনো বিদেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো জয় না পাওয়া সাকিবের দলের জন্য এটি একটি কঠিন পরীক্ষা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত আসরের চাইতে এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলটি একেবারেই ভিন্ন। এবারের দলে সাকিব ছাড়া বলতে গেলে আর কোনো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নেই। এরই মধ্যে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন তামিম ও মুশফিক। দল থেকে বাদ পড়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ফলে সাকিবের নেতৃত্বে একেবারে তরুণ একটি দল নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তার আগে আজ থেকে শুরু হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে আরো একটি কঠিন মিশনে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত আসরের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড। আর সেমিফাইনালিস্ট পাকিস্তান। শুধু তাই নয় এবারের এশিয়া কাপের ফাইনালিস্টও পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অন্যতম ফেবারিট এই দুই দলের বিপক্ষে নিজেদের শক্তিমত্তা পরখ করে নেওয়ার একটি বড় সুযোগ এই সিরিজ। সিরিজে প্রতিটি দল একে অপরের সাথে দুবার মোকাবেলা করবে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা দুই দল খেলবে ফাইনালে। সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে। গত ২ অক্টোবর বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ড রওয়ানা দেয়। সেখানে পৌঁছার পর তিনদিন অনুশীলন করেছে টাইগাররা। তবে দলের সাথে গতকালই যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলা শেষ করে নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু ফ্লাইট এবং ভিসা জটিলতার কারণে সাকিব গতকালই দলের সাথে যোগ দিয়েছেন। ফলে গতকাল সামান্য অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছেন সাকিব। আজ সকালে তিনি নামবেন টস করতে। এর আগে আরব আমিরাতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ছিলেন না সাকিব।
সিরিজে বাংলাদেশ দল তাদের দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলবে ৯ অক্টোবর স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ফিরতি পর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১২ অক্টোবর। আর লিগ পর্বের নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে টাইগাররা ১৩ অক্টোবর। একটি ম্যাচ ছাড়া বাকি সবগুলো ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮ টায়।
এশিয়া কাপে ব্যর্থতার পর আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও আহামরি কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এই সিরিজে ভালো কিছু করার প্রত্যাশা বাংলাদেশ দলের। এশিয়া কাপের আগে দলে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ভারতের শ্রীধরন শ্রীরামকে। কিন্তু এশিয়া কাপে তিনি দলকে তেমন কিছু দিতে পারেনি। আরব আমিরাতের মত দুর্বল দলের বিপক্ষেও টাইগারদের পারফরম্যান্স মনে রাখার মত ছিল না। এই সিরিজে দুই কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে হবে সাকিবদের। এই দুই দলের বিপক্ষে ১৫টি করে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ফলাফলের দিক থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কিছুটা ভাল বাংলাদেশের। তুলনায় কিউইদের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ জিতেছে আর পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় মাত্র দুটি। সবচাইতে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ এই দুদলের বিপক্ষে। কাজেই নিজেদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির শেষটা রাঙাতে চাইবে বাংলাদেশ সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। যদিও প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হওয়ায় কাজটা সহজ সহওয়ার কথা নয় মোটেও। তারপরও সাকিবের আশা ভাল কিছু করার।











