প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগের ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব ডিএফএ’র রিপোর্ট চেয়েছে ফুটবল ফেডারেশন

| বুধবার , ১৬ নভেম্বর, ২০২২ at ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগে বাকলিয়া একাদশ এবং চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ দলের মধ্যকার গত ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাকলিয়া একাদশের কোচ শামীমকে পাতানো ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠে চট্টগ্রাম জেলা রেফারী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। গত ১০ নভেম্বর দৈনিক আজাদীতে “প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগে পাতানো ম্যাচ খেলার প্রস্তাব খোদ রেফারী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সে সংবাদের পর চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন ঘুমিয়ে থাকলেও দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নড়ে উঠে। তারা দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত সংবাদের কপি সহ সেদিন রাতেই চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কাছে চিঠি প্রেরণ করে। সে চিঠিতে জানিয়ে দেওয়া হয় এ বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ১৭ নভেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে প্রেরণ করার জন্য।
চিঠি পেয়ে নড়েচড়ে বসে জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনও। গত ১৩ নভেম্বর সভায় বসে জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন। সংস্থাটির সভাপতি এস এম শহীদুল ইসলাম জানান তারা বাফুফে থেকে চিঠি পেয়ে সভা করেন। আর সে সভায় এই ঘঠনা তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। আর সে কমিটিকে আজ ১৬ নভেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমানকে। অপর দুই সদস্য হলেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন মোঃ জাহাঙ্গীর এবং চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম লেদু। তারা ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। এদিকে জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন এই ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন শুধু চিঠি দিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি। তারা সব সময় সেটা মনিটর করছে। যোগাযোগ করছে জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সাথে। দ্রুত তারা রিপোর্ট চায় বলে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা। এমনিতেই পাতানো ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বেশ সোচ্চার।
তাছাড়া চট্টগ্রামের প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগের এই পাতানো ম্যাচের প্রস্তাবের ঘটনাটা বেশি আলোচিত হয়েছে। কারণ অভিযোগ উঠেছে খোদ রেফারী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। যিনি কিনা বিচারকদের অভিভাবক। তার কাছ থেকে এ ধরনের প্রস্তাব আসা মানে সেটা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য এক ধরনের অশনি সংকেত। অপরদিকে যাদের পক্ষে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সে দলটি হচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ দল। রাষ্ট্রীয় একটি সংস্থার ফুটবল দলের পক্ষে এমন প্রস্তাব দেওয়া মানে সেটা তাদেরও ভাবমূর্তির বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। তাই বাফুফে চাইছে বিষয়টি দ্রুত নিস্পত্তি করতে। এখন দেখার বিষয় জেলা পুটবল এসোসিয়েশন গঠিত তদন্ত কমিটি কি রিপোর্ট প্রদান করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাতার বিশ্বকাপে হামলার হুমকি আইএসের
পরবর্তী নিবন্ধসম্পদের সিংহভাগ দান করে দিতে চান জেফ বেজোস