টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড আগে থেকেই ছিল মুশফিকুর রহিমের। সেই অর্জনকেই আরেকটু সমৃদ্ধ করে নিজেকে নতুন ধাপে তুলে নিলেন তিনি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান পৌঁছে গেলেন ৬ হাজার রানের উচ্চতায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে এই মাইলফলকে পা রাখেন ৩৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। এই টেস্ট শুরুর সময় ৬ হাজার ছুঁতে তার প্রয়োজন ছিল ৩৯ রান। প্রথম ইনিংসে তিনি ১১ রান করে বোল্ড হয়ে যান কাগিসো রাবাদার বলে। দ্বিতীয় ইনিংসে গতকাল মঙ্গলবার শেষ সেশনে বাকি পথটুকু পাড়ি দেন তিনি বেশ দ্রুততায়। ডেন পিটের বলে প্রিয় রিভার্স সুইপ শটে পা রাখেন তিনি ৬ হাজারের সীমানায়। ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে ২৬ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন তিনি। ৯৩ টেস্টে ১৭২ ইনিংস খেলে এখন ৬ হাজার ৩ রান তার। দ্রুততম ৬ হাজার রানের বিশ্বরেকর্ড স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের। সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান বলে বিবেচিত এই অস্ট্রেলিয়ান মাত্র ৬৮ ইনিংস খেলেই এই মাইলফলকের দেখা পেয়েছিলেন। তার রেকর্ড অতিমানবীয়। ১১১ ইনিংসে ৬ হাজার ছুঁয়ে রেকর্ডের দুইয়ে আরেক কিংবদন্তি স্যার গ্যারি সোবার্স ও অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট স্টিভেন স্মিথ। এছাড়াও আরও অনেক ব্যাটসম্যান বেশ দ্রুতগতিতে এই ঠিকানার দেখা পেয়েছেন। তাদের সঙ্গে তুলনা না করলেও মুশফিকের অনেক বেশিই ইনিংস লেগে গেল এখানে পৌঁছতে। সেই ২০০৫ সালের মে মাসে তার টেস্ট অভিষেক। বাংলাদেশ যদিও খুব বেশি টেস্ট খেলে না, তার পরও সময়ের হিসেবে ১৯ বছরের বেশি লাগল তার এই পর্যন্ত আসতে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় অবশ্য এটিও কম নয়। টেস্টে ৫ হাজার রান করা ব্যাটসম্যান এ দেশের আছে আর মাত্র একজন। ৭০ টেস্ট খেলে ১৩৪ ইনিংসে ৫ হাজার ১৩৪ রান করেছেন তামিম ইকবাল। তার টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ বলে ধরে নেওয়া যায়। ৭১ টেস্ট খেলে ১৩০ ইনিংসে ৪ হাজার ৬০৯ রান সাকিব আল হাসানের। তিনি আর টেস্ট খেলতে পারেন কি না সেটি এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় কৌতূহল। সর্বোচ্চ ১৩ সেঞ্চুরি করা মুমিনুল হক ৬৬ টেস্টে ১২৩ ইনিংস খেলে করেছেন ৪ হাজার ২৬৯ রান।