বিশ্ব ইজতেমার (২০২৩) প্রস্তুতি ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমায় দুটি গ্রুপ রয়েছে। একটি মাওলানা জুবায়ের গ্রুপ ও আরেকটি মাওলানা সাদ গ্রুপ। এবার বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম পর্বে মাওলানা জুবায়ের অনুসারী ও দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদ অনুসারীরা অংশ নেবে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ফলোআপ সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর বাংলানিউজের।
তিনি বলেন, করোনার পরে তারা দুটি গ্রুপ ইজতেমা করেছেন। তখন কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়নি। আমার মনে হয় তাদের মধ্যে নতুন করে ভুল বোঝাবুঝি হবে না। তারা সুন্দরভাবে ইজতেমা শেষ করবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি মেহমানদের জন্য আগের মতোই সুযোগ-সুবিধা থাকবে। এবার প্রথম পর্ব শেষে মেহমানদের হাজী ক্যাম্পে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা আছে।
তবে প্রথম পর্ব শেষে জুবায়ের অনুসারীদের ১৬ জানুয়ারি বেলা ১১টার মধ্যে ইজতেমা মাঠ ছাড়তে বলা হয়েছে। প্রতিবছরের মতো বিশ্ব ইজতেমায় সব ধরনের নিরাপত্তা থাকবে। তবে এবার সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে কাজ করছে আইনশৃক্সখলা বাহিনী। যেন সাইবার ক্রাইমের কোনো ঝুঁকি না থাকে। সামরিক বাহিনী প্রতিবারের মতো তুরাগ নদে এবারও ব্রিজ নির্মাণ করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম। এছাড়া বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বের মুরুব্বি ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-প্রতিনিধিরা বিশ্ব ইজতেমার প্রস্ততির সব তথ্য তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী ১৩ জানুয়ারি শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম পর্ব। এরপর ২০ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। একইভাবে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ২২ জানুয়ারি শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।