নিউজিল্যান্ডে ডেভন কনওয়ের সেঞ্চুরির পরও স্বাগতিকদের খুব বেশি রান করতে দেয়নি বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে বেঁধে রাখতে চমৎকার বোলিংয়ে বড় অবদান রাখেন শরিফুল ইসলাম। নিজেদের প্রথম দিনের পারফরম্যান্সে খুশি বাঁহাতি এই পেসার। একটু আফসোসও আছে, দিনটা হতে পারত যে আরও ভালো। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে শনিবার প্রথম দিনের খেলা শেষে নিউজিল্যান্ডের রান ৫ উইকেটে ২৫৮। ২০ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে টম ল্যাথাম ও রস টেইলরের উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার শরিফুল। চমৎকার বোলিং করলেও উইকেট পাননি তাসকিন আহমেদ। খুব একটা ধারাবাহিক না হলেও দ্বিতীয় নতুন বলে একটি উইকেট নেন ইবাদত হোসেন। অনেকবারই একটুর জন্য বলের কানা নেয়নি বল। কয়েকবার একটুর জন্য ফিল্ডার পর্যন্ত যায়নি ক্যাচ। তাই দিন শেষে আরও দুয়েকটা উইকেট না পাওয়ার আক্ষেপ থাকাই স্বাভাবিক। বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় শরিফুল জানান সে কথাই। ‘পারফরম্যান্সে খুশি। তবে মনের মধ্যে কিন্তু শব্দটা থাকেই। যদি আরও একটা-দুইটা উইকেট যেত, তাহলে আরেকটু খুশি লাগত। তবে দিন শেষ, (ম্যাচের যে চিত্র তাতে) খুশি।’ দিন শেষে বাংলাদেশের ম্যাচে ফিরে আসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে মোমিনুল হকের। দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার আগে শেষ ওভারে তিনিই বিদায় করেন কনওয়েকে। বছরের প্রথম ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করে আরও সামনে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। বাঁহাতি স্পিনে তাকে কট বিহাইন্ড করে থামান মোমিনুল। থিতু ব্যাটসম্যানকে বিদায় করার অর্থ ভালো করেই জানা শরিফুলের। অধিনায়ককে প্রাপ্য কৃতিত্ব দেওয়ার সঙ্গে তিনি জানান, ‘কনওয়ের উইকেট খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সে ভালো খেলছিল। মোমিনুল ভাই এসে ‘ব্রেক থ্রু’ দিল। এতে দলের জন্য অনেক উপকার হয়েছে। আমরা রান রেট কমিয়ে রাখার এবং ওদের তাড়াতাড়ি অলআউট করার চেষ্টা করব।