মেয়র পেয়েছেন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা। অনুমোদন মিলেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্পের। বেড়েছে রাজস্ব আদায়। থোক বরাদ্দ দিয়েছে মন্ত্রণালয়ও। এরপরও মশক নিধন, জলাবদ্ধতা, পরিচ্ছন্নতা এবং আলোকায়নসহ সেবা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম নিয়ে অসন্তুষ্টি ও অভিযোগ আছে নগরবাসীর। গৃহকর ইস্যুতেও অভিযোগের শেষ নেই। এমনকি সর্বশেষ পারফরমেন্স মূল্যায়ন প্রতিবেদনে (এপিএ রিপোর্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগের ২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চসিকের অবস্থান হয়েছে ১৮তম। সর্বশেষ মশার ওষুধ কেনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযানে ‘অনিয়ম’–এর সত্যতা পাওয়া এবং প্রকল্প পরিচালককে ঠিকাদারের মারধরের ঘটনায় চসিকের ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও সংকটে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে আজ বুধবার দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর পূর্ণ হয়েছে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর। মেয়রের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল ৩৭ দফা উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি। এর বাইরে জনসংযোগকালেও দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতি। তাই দুই বছর পূর্তিতে এসে স্বাভাবিকভাবেই নগরবাসীর জিজ্ঞাসা, মেয়রের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির কতটুকু পূরণ হয়েছে? তারা অংক কষছেন মেয়রের সাফল্য–ব্যর্থতার। একইসঙ্গে ফুটপাত এবং হকার দখলমুক্ত করতে চলা উচ্ছেদ অভিযানসহ যেখানে সাফল্য আছে তার প্রশংসাও করছেন।
দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর পূর্তিতে মেয়রের কাছে দৈনিক আজাদীর প্রশ্ন ছিল, ‘সাফল্যের দিক থেকে নিজেকে ১০০ নম্বরে কত দেবেন?’ উত্তরে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নিজের নম্বর নিজে দিতে পারে? নিজের মূল্যায়ন নিজে করতে পারে না। নগরবাসী মূল্যায়ন করবেন। তবে এতটুকু বলতে পারি, বৃহৎ কোনো পরিবর্তন আনতে না পারলেও শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং নগরবাসীর সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিতে যা যা করণীয় তার সবটুকু আন্তরিকতার সঙ্গে করার চেষ্টা করেছি। আরো কিছু বৃহৎ পরিকল্পনা আছে যা বছর দেড়েকের মধ্যে দৃশ্যমান হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ২৭ জানুয়ারি চসিকের ষষ্ঠ পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন রেজাউল করিম চৌধুরী। ১১ ফেব্রুয়ারি শপথ নেন তিনি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১৫ ফেব্রুয়ারি।
মশক নিধন : মেয়রের নির্বাচনী ইশতেহারে ১৫ নম্বরে ছিল মশকমুক্ত নগর করা। এ জন্য পরিবেশ উপযোগী কীটনাশক প্রয়োগেরও প্রতিশ্রুতি ছিল; যার কোনোটা শতভাগ পূরণ হয়নি। বরং সারা বছরই মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ থাকে নগরবাসী। দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর উপলক্ষে গত বছরের ২৩ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকারও করেন মেয়র। এজন্য বিড়ম্বনায় আছেন জানিয়ে ওইদিন বলেছিলেন, ‘দিনে মশা, রাতেও মশা, এ বাস্তবতাকে অস্বীকার করব না’। এ বক্তব্যের পর এক বছর পার হয়েছে। এখনো কমেনি মশার উৎপাত। বরং বেড়েছে। এর মধ্যে বিনা দরপত্রে এক প্রতিষ্ঠান থেকে ৭৭ লাখ টাকার ওষুধ কেনার নজির স্থাপন করেছে সংস্থাটি। ৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের অভিযানে এর সত্যতাও মিলে। দুদকের দাবি সেখানে অনিয়ম হয়েছে।
মশক নিধন কার্যক্রম নিয়ে মেয়র আজাদীকে বলেন, যতদিন পর্যন্ত বড় বড় খাল–নালায় পানি প্রবাহ ক্লিয়ার হবে না, ততদিন মশার উৎপাত কমানো কঠিন হবে। কারণ পানি জমে থাকলে মশার লার্ভা বৃদ্ধি পাবেই। জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএর চলমান মেগা প্রকল্পের আওতায় খালে বাঁধ দেয়ায় পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বিনা দরপত্রে ওষুধ কেনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওখানে কেউ টাকা আত্মসাৎ করেনি এবং দুর্নীতিও হয়নি। পিপিআরের ৭৬ (ট) দিয়ে কেনার সুযোগ আছে। তবে এক প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হয়েছে বা নেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেখানে অন্য প্রতিষ্ঠান আগ্রহী না হওয়ায় হয়তো একজন থেকে নিতে হলো। এরপরও বিষয়টা তদন্ত করছি।
গৃহকর ইস্যু : ২০২২ খ্রিস্টাব্দের জুলাই থেকে স্থগিত থাকা পাঁচ বছর পূর্বের ‘বর্ধিত’ গৃহকর আদায় শুরু করে চসিক। এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেন মেয়র। অথচ যৌক্তিক কর নির্ধারণে প্রতিশ্রুতি ছিল মেয়রের নির্বাচনী ইশতেহারের ৮ নম্বরে। বর্তমানে বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রস্তাবিত গৃহকরের ওপর আপিল শুনানি চলছে। সেখানে ‘সর্বোচ্চ’ ছাড় দেয়ার দাবি করে আসেন মেয়রসহ রাজস্ব বিভাগের দায়িত্বশীলরা। বাস্তবতা হচ্ছে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাওয়া গৃহকর থেকে আপিলে ৬০–৭০ শতাংশ ছাড় দিলেও যে অংক চূড়ান্ত হচ্ছে তা পূর্বের দ্বিগুণের মতো। এই অবস্থায় প্রস্তাবিত গৃহকর আদায় বন্ধে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ আবার আন্দোলন শুরু করে। আগামী মাসে তাদের নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি আছে।
গৃহকর বা হোল্ডিং ট্যাঙের সামগ্রিক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেয়র আজাদীকে বলেন, স্থগিত থাকলে শহর চলবে কীভাবে? আমরা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করলেও আপিল শুনানিতে এমনভাবে নির্ধারণ করছি যাতে মানুষকে ভুগতে না হয়। অতিরিক্ত গৃহকর নির্ধারণ নিয়ে মানুষের যে আপত্তি সেটা দূর করে দিচ্ছি। সহনীয় করে দেয়ায় তারা খুশি হচ্ছেন। তিনি বলেন, সরকার এখন পর্যাপ্ত থোক বরাদ্দ দিচ্ছে না। তাই কর্পোরেশনকে ট্যাঙ আদায় করে চলতে হবে। সেটা গৃহকর বা ভূমিকর কিংবা আইনে থাকা অন্যান্য যেসব ট্যাঙ আছে তা আদায় করেই।
চসিককে স্বাবলম্বী করা : করের বোঝা থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় আয়বর্ধক প্রকল্প বৃদ্ধি করে চসিককে স্বাবলম্বী করা যায়। কিন্তু তেমন কোনো আয়বর্ধক প্রকল্প গড়ে উঠেনি গত দুই বছরে। এ প্রসঙ্গে মেয়র আজাদীকে বলেন, আয়বর্ধক প্রকল্পের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া তা বাস্তবায়নের সুযোগ নেই। এখানে কর্পোরেশনের হাত–পা বাঁধা। কর্পোরেশনের টাকা দিয়ে আয় বাড়াতে গেলেও মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে। যেসব প্রকল্প হাতে নিয়েছি তা মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে এতদিনে কাজ শুরু করে দিতে পারতাম। অনুমতির কারণে আটকে আছে। এর উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, যেমন ল্যান্ডফিলের (আবর্জনাগার) সংকট আছে। জায়গা কিনে ল্যান্ডফিল করতে পারব। কিন্তু প্রস্তাব দিলেও এখনো মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাইনি।
জলাবদ্ধতা : নির্বাচনী ইশতেহারের এক নম্বরেই জলাবদ্ধতা নিরসনে মনোযোগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল মেয়রের। বর্তমানে নগরে সিডিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের কাজ চললেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলেনি নগরবাসীর। এ বিষয়ে মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিয়ে অন্য সংস্থা কাজ করছে। আমি তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের চেষ্টা করছি। কয়েক দফা সমন্বয় সভাও করেছি। তাদের চাপ দিচ্ছি, মন্ত্রণালয়ে জানাচ্ছি, মন্ত্রী–উপমন্ত্রী সবাইকে বলছি।
মেয়র বলেন, খালের মাটি উত্তোলন না করলে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলবে না। খাল পরিষ্কার থাকলে পানি উঠলেও দ্রুত নেমে যাবে। এখন সে ব্যবস্থা নেই। স্যুয়ারেজের পানিও যেতে পারছে না। খালে বাঁধ দিয়ে রেখেছে। কয়েকদিন আগেও জলাবদ্ধতার প্রকল্প পরিচালককে বলেছি। এবার যদি জলাবদ্ধতা হয় তাহলে নগরবাসীকে বলতে বাধ্য হব, তাদের ব্যর্থতার জন্য মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্পোরেশনের বাড়ইপাড়া খাল খনন প্রকল্পের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
দুই বছরে দৃশ্যমান কাজ : গত দুই বছরে বিভিন্ন খাতে দৃশ্যমান অগ্রগতি আছে বলে জানান মেয়র। আজাদীকে তিনি বলেন, রাস্তাঘাট মানুষের চলাচলের উপযোগী করেছি, আলোকায়ন করেছি। পিসি রোড, স্ট্র্যান্ড রোড এবং আরাকান সড়কের খারাপ অবস্থা ছিল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর পূর্বের টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করে সড়কগুলোর কাজ শেষ করি। মেডিকেল বর্জ্য বিশোধনে ‘ইন্সিনারেটর প্ল্যান্ট’ বসিয়েছি। রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে থেরাপি সেন্টার এবং কৃত্রিম হাত–পা সংযোজন সেন্টার করেছি। শহর আলোকায়নে এলইডি বাতি লাগিয়েছি এবং সৌন্দর্যবর্ধনেরও কাজ করেছি। রাস্তা–ফুটপাত অবৈধ দখলদারমুক্ত করতে নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি।
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমেও গতি এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম আগে থেকে উন্নত হয়েছে। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কোরবানির ঈদে দ্রুত সময়ে বর্জ্য পরিষ্কার করেছি। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম একটা সিস্টেমে এসেছে। সামনে আরো উন্নত হবে। আমূল পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা চলছে।
সীমাবদ্ধতা ও আক্ষেপ : ইচ্ছা থাকলেও আর্থিক সীমাবদ্ধতার জন্য উন্নয়ন কাজ করা যায় না। সেটা নিয়ে আক্ষেপও কম নয় মেয়রের। সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের সময় সিটি কর্পোরেশনের ১১শ কোটি টাকা দেনা ছিল। সেখান থেকে ঠিকাদারদের বকেয়া ২০০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছি, যার সবগুলোই কর্পোরেশনের নিজস্ব আয় থেকে করা হয়েছে। ৮৫ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল এবং বিভিন্ন পত্র–পত্রিকার বিজ্ঞাপন বাবদ নয় কোটি টাকা বকেয়া ছিল। এর মধ্যে সাত কোটি টাকা পরিশোধ করেছি। এ রকম প্রতিটি সেক্টরেই বকেয়া ছিল, যা গত দুই বছরে পরিশোধ করেছি। যদি এসব বকেয়া পরিশোধ করতে না হতো তাহলে ওই টাকা আমি নগর উন্নয়নের কাজে লাগাতে পারতাম।
তিনি বলেন, আমার মেয়াদকালে এক টাকাও বিদ্যুৎ বিল বকেয়া নেই। প্রতি মাসে দুই–আড়াই কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। প্রতি মাসে ২৩–২৪ কোটি টাকা বেতন আসে কর্মকর্তা–কর্মচারীর। সেগুলোও ১ তারিখ পরিশোধ করে দিই। আগে তো ১০ তারিখ হয়ে যেত। আর্থিক সংকটের মধ্যেও ঠিকাদারদের ২০০ কোটি টাকা পরিশোধ করে তাদের চোখের পানি বন্ধ করা কিন্তু সোজা ব্যাপার না।
মেয়র বলেন, অন্য কর্পোরেশনের চেয়ে চট্টগ্রাম আলাদা। অন্য কোথাও স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে ব্যয় হয় না। চট্টগ্রামের মতো একটা কর্পোরেশনও নেই যারা ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৫৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিচালনা করে। এই দুই খাতে আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি। কিন্তু সরকারিভাবে সেখানে কোনো অনুদান পাই না। তাই স্বাভাবিকভাবে বাকি সিটি কর্পোরেশন যেভাবে নাগরিকের অন্যান্য সুবিধার দিকে মনোযোগী হতে পারে আমাদের সুযোগ একটু কম। তাই বলে আমরা থেমে নেই।
স্বপ্ন ও পরিকল্পনা : আগামী দিনে বাস্তবায়নে কিছু পরিকল্পনা ও স্বপ্ন আছে মেয়রের। সে প্রসঙ্গ বলেন, যে কোনো উপায়ে নগর ভবন করার পরিকল্পনা আছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে পার্ক করতে চাই। অবশ্য কিছু কিছু জায়গায় পার্ক করার প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে। বাটালি হিলে ‘চট্টগ্রাম টাওয়ার’ করব। শহরের সৌন্দর্য বাড়াতে চাই। বিদ্যমান স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে আরো আধুনিক করার চিন্তা–ভাবনা আছে। আশা করছি বছর দেড়েকের মধ্যে এসব দৃশ্যমান হবে। সেইভাবে আগাচ্ছি।
নগরবাসীর প্রতি আহ্বান : দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছরে এসে পূর্বের মতো নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন মেয়র। নগরবাসীর উদ্দেশে কোনো বার্তা আছে কিনা জানতে চাইলে পলিথিন ও বর্জ্য যেখানে সেখানে না ফেলার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, তারা (নগরবাসী) যেন নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা–আবর্জনা ফেলেন। শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সুন্দর নগর গড়তে নগরবাসীকেও এগিয়ে আসতে হবে। কারণ মেয়র, কাউন্সিলর, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এককভাবে শহরকে এগিয়ে নিতে পারবে না। সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে।