প্রতিদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে আমার মত অসংখ্য পাঠক সারা বিশ্বের সংবাদ জানার জন্য চায়ের টেবিলে যে খবরের কাগজটার জন্য প্রতীক্ষায় থাকে সেটি হল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদী। প্রতিদিনের ভালোবাসার অনন্য এক দলিল হিসেবে দৈনিক আজাদী আমার কাছে আসে। কিশোর বয়স থেকে দৈনিক আজাদীর সাথে ভালোবাসার নিবিড় বন্ধনে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আজও সমান তালে ভালোবেসে চলেছি। আগে অন্যের লেখা পড়ে আনন্দ পেতাম এখন নিজের মনের অনুভূতির কথা দৈনিক আজাদী কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে প্রকাশ করে আমাকে কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করে ফেলেছে। আমার মতো হাজারো পাঠককে লেখক করে তুলেছে দৈনিক আজাদী। গুণী লেখকদের সাথে নবীন লেখকদের স্থান করে উৎসাহ দিয়ে চলেছে সূচনালগ্ন থেকেই। দৈনিক আজাদীর এ এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। প্রতিভাকে সবসময় মূল্যায়ন করে। ফলে লেখার গুণগত মান যাচাইয়ে দৈনিক আজাদী আদর্শকে ধরে রেখেছে এবং পাঠকের মন জয় করেছে। দেশ বিদেশের সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি সাহিত্য চর্চার অবাধ ক্ষেত্র সৃষ্টি করে সৃজনশীল মানুষের হৃদয়ের মণিকোটায় জায়গা করে নিয়েছে দৈনিকটি। তাই দৈনিক আজাদী হয়ে উঠেছে পাঠক নন্দিত। প্রতিটি শ্রেণির মানুষের হয়ে উঠেছে ভালোবাসার প্রতীক।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহর নগর গ্রামে সর্বত্র কৃষক শ্রমিক ধনী গরীব মধ্যবিত্ত সবার কাছে সমান জনপ্রিয় এ খবরের কাগজটি। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দৈনিক হলেও অনলাইন ভার্সন থাকার কারণে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে দৈনিক আজাদী হয়ে উঠেছে প্রতিদিনকার ভোরবেলার আবশ্যকীয় অনুষঙ্গ। সত্য ন্যায় আদর্শের পক্ষে সূচনালগ্ন থেকেই দৈনিক আজাদীর অবস্থান সুদৃঢ় ছিল আছে এবং ভবিষ্যতেও যে থাকবে বর্তমান কর্মকাণ্ডই তা বলে দেয়। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে এবং নিরপেক্ষতায় দৈনিক আজাদী পাঠকের বিশ্বাস অর্জন করে আসছে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র হিসেবে দৈনিক আজাদী প্রকাশ সংবাদপত্রের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করে অনন্য মর্যাদায় আসীন করেছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামকে ইতিহাসের পাতায় করে তুলেছে আরো উজ্জ্বল। চট্টগ্রামের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে বিশ্বদরারে তুলে ধরার ক্ষেত্রে দৈনিক আজাদী সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এগিয়ে যাক দৈনিক আজাদী পাঠকের ভালোবাসায়।