প্রতিদিন ‘৫০০’ পেনাল্টি শট অনুশীলন করেন মার্তিনেস

স্পোর্টস ডেস্ক | শনিবার , ৬ জুলাই, ২০২৪ at ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ

টাইব্রেকার মানেই সব দলের জন্য যেমন লটারি, আর্জেন্টিনার জন্য যেন তা ‘নিশ্চয়তা।’ গোলবারে একজন এমিলিয়ানো মার্তিনেস যে আছেন। আর্জেন্টিনার রূপকথার নায়ক আবারও আবির্ভূত হলেন আপন মহিমায়। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকালেন প্রথম শট। পরেরটি থামালেন ডানে লাফিয়ে। দুটি পেনাল্টি রুখে দিয়ে আর্জেন্টিনাকে তিনি পৌঁছে দিলেন সেমিফাইনালে। ম্যাচ শেষে এই গোলকিপার জানালেন, এত দ্রুত বাড়ি ফিরতে চাননি তিনি। টাইব্রেকারে তার সাফল্য যে অলৌকিক কিছু নয়, বরং অনেক ঘামশ্রমের ফসল, সেটিও জানিয়ে দিলেন আর্জেন্টাইন নায়ক। পেনাল্টি ঠেকানোয় কিংবদন্তি হয়ে ওঠা মার্তিনেস আরও একবার টাইব্রেকারে দেখালেন নিজের বিশেষত্ব। হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকার প্রথম কোয়ার্টারফাইনালে ইকুয়েডরের দুটি শট ঠেকিয়ে তিনি নিশ্চিত করেন আর্জেন্টিনার সেমিফাইনালের টিকেট।

টাইব্রেকারের আগে ম্যাচের প্রথমার্ধে হেরেমি সারমিয়েন্তোর খুব কাছ থেকে নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক। পরে দ্বিতীয়ার্ধে একটি পেনাল্টি কাজে লাগাতে পারেনি ইকুয়েডর। তাদের অধিনায়ক এনের ভালেন্সিয়ার শট লাগে গোল পোস্টে। ওই শটে মার্তিনেস পরাস্ত হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিই গড়ে দিয়েছেন ব্যবধান। দলকে শিরোপার আরও এক ধাপ কাছে এগিয়ে নিয়ে জিতে নেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। পরে প্রত্যয়ী কণ্ঠে বলেন দৃষ্টি তাদের আরও সামনে। আমি বাড়ি ফিরতে প্রস্তুত ছিলাম না। এই দলটির আরও সামনে যাওয়া প্রাপ্য। আর্জেন্টিনা দলে নিয়মিত হওয়ার পর থেকেই পেনাল্টি শটে, বিশেষ করে টাইব্রেকারে রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য মার্তিনেস। ২০২১ সালে সবশেষ কোপা আমেরিকায় কলম্বিয়ার বিপক্ষে মূল ম্যাচ ড্র হওয়ার পর মার্তিনেসই ফাইনালে তোলেন দলকে। পরে ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপে কোয়ার্টারফাইনালে নেদারল্যান্ডস ও ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে রুখে দেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাজায় নিহত বেড়ে ৩৮ হাজার ছাড়াল
পরবর্তী নিবন্ধআর্জেন্টিনার কাছে হেরে বরখাস্ত ইকুয়েডর কোচ