প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে জেলা পরিষদ চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু উদারতাবশত অনেককেই ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। যাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন তারা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর প্রতিশোধ নিয়েছিলেন। আমরা আরো ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর হয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী পাকিস্তানী প্রেতাত্মাদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রতিটি মহল্লায় স্বাধীনতা ও বাংলাদেশবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করতে স্কোয়াড গড়ে তুলুন। মনে রাখতে হবে, আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করতে যাচ্ছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঙালিদের জন্য যে সুসময় এনে দিয়েছে তার সুরক্ষা করতে হবে। বাংলার হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান যে রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ তা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সেতুবন্ধন। এই চেতনায় শাণিত হয়ে একাত্তরের প্রেরণায় জ্বলে উঠতে হবে। আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এটা আমরা সহ্য করতে পারি না। আমাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও শেখ হাসিনাকে রক্ষা করব।
নাছির বলেন, আজ এই বাংলাদেশে যারা আগুন নিয়ে খেলবে তাদেরকে সেই আগুনে পুড়ে ছাই হতে হবে। তিনি জানান, ঐতিহাসিক লালদিঘির মাঠে আগামী ২৮ মে বিকাল ৩টায় মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, বিএনপি–জামাত পাপচক্র পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চায়। তাদের জানা উচিত, এটা ২০২৩ সাল। ২০২৪ সালে এই অশুভ পাপচক্রের চূড়ান্ত পতন ঘটানো হবে। তাদের মনে রাখা উচিত, পৃথিবীতে কোনো পাপচক্র দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। ইতিহাসের শিক্ষা অনুযায়ী এদের ধ্বংস অনিবার্য। তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চূড়ান্ত নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। নির্দেশ পাওয়া মাত্রই ডাইরেক্ট অ্যাকশন শুরু হবে। তখন কেউ রক্ষা পাবে না।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, দিদারুল আলম মাসুম, হাসান মুরাদ, এম এম মুরাদ ও মো. জসীম উদ্দীন।
উপস্থিত ছিলেন নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, এম জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, নোমান আল মাহমুদ এমপি, সফর আলী, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, জোবাইরা নার্গিস খান, আবু তাহের, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, আবুল মনসুর, গাজী শফিউল আজিম, পেয়ার মোহাম্মদ, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, জাফর আলম চৌধুরী, মহব্বত আলী খান, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, ড. নেছার উদ্দীন আহমদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমদ, সাহাব উদ্দীন আহমেদ, জাহাঙ্গীর চৌধুরী সিইনসি স্পেশাল, আনছারুল হক, রেজাউল করিম কায়সার, অধ্যাপক আসলাম হোসেন ও মো. সালাউদ্দীন।