করোনাভাইরাস মহামারীর বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ পরিশোধে আরও সময় বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন ব্যবসায়ীরা। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা এই অনুরোধ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ ১২টি বাণিজ্য সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে যুক্ত ছিলেন। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তাফা কামাল ব্যবসায়ীদের চাওয়া পাওয়ার বিষয়ে বলেন, সরকার কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছে। এসব প্যাকেজে তারা উপকৃত হয়েছে বলে জানিয়েছেন। এখন তাদের দাবি হচ্ছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় প্রণোদনার অর্থ ফেরতের সময় আরও বাড়ানো যায় কিনা তা বিবেচনা করা। খবর বিডিনিউজের।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ১২টি ব্যবসায়ী সংগঠনকে দাওয়াত দিয়েছি। তারা সবাই উপস্থিত ছিলেন। যেসব বিষয় আলোচনা আসছে, সেগুলোর অধিকাংশই ট্যাক্স রিলেটেড। অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারের নেতৃত্বে পুরো বাজেট টিম তাদের কথাগুলো নোট নিয়েছে। আমরা শুনেছি, সময় মতো দেখবো। তাদের পরামর্শ যেগুলো দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য উপযোগী সেগুলো দেখবো। দাবি এসেছে। দাবির পরিমাণ সব সময় বেশিই থাকে। পরবর্তীতে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবো, বলেন মুস্তাফা কামাল। বৈঠকে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর প্রস্তাব তুলে ধরেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। এ সংগঠনের প্রস্তাবে তৈরি পোশাকের রপ্তানি ও উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পণ্য ও সেবায় পুরোপুরি ভ্যাট অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা আগামী ৫ বছরের জন্য অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।