নগরীর বাকলিয়ার বাস্তুহারা ও চান্দগাঁও থানার বারইপাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে বাস্তুহারা এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিতদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং দুপুর ১২টার দিকে বারইপাড়া এলাকায় বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কেউ মুখ খুলেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে বহদ্দারহাট বারইপাড়া এলাকার ৬নং ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হাসান লিটনের উপর হামলা চালায় সরকার দলীয়রা। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে বিকেল পাঁচটার দিকে বাকলিয়ার বাস্তুহারা এলাকায় ৩৫নং বক্সিরহাট ওয়ার্ডের বিএনপির ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী এডভোকেট তারিক আহমেদ ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী মনোয়ারা বেগমের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ করে বিএনপি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী নুরুল হকের গণসংযোগের সময় হামলার অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ। বিএনপির নির্বাচনী মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য সচিব ইদ্রিস আলী অভিযোগ করে বলেন, সোমবার দুপুরে বারইপাড়া এলায় ৬নং ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর উপর হামলা চালিয়েছে যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। এতে ১০/১২ জন আহত হয়েছেন। একই কায়দায় বিকেল পাঁচটার দিকে বাকলিয়ার বাস্তুহারা এলাকায় ৩৫নং ওয়ার্ডে বিএনপির সমর্থিত দুই কাউন্সিলর প্রার্থী গণসংযোগ করার সময় ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর মিছিল থেকে হামলা চালানো হয়েছে। এতে ৮/১০ জন বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে বাস্তুহারার সংঘর্ষের বিষয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন বাবু জানান, নৌকার গণসংযোগ করার সময় ধানের শীষের কর্মী সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে চান্দগাঁও থানার ওসি মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। অন্যদিকে বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিনের অফিসিয়াল মুঠোফোনে রাত ১১টা পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ফোন করা হলে তাঁর বডিগার্ড ফোন রিসিভ করেন। পরে থানার ডিউটি অফিসারের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি কোনো নির্বাচনী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান।