প্রক্রিয়াজাত খাবারের অতিরিক্ত লবণ বাড়াচ্ছে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি

| বৃহস্পতিবার , ১৫ মে, ২০২৫ at ৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ

খাবারের মাধ্যমে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক ও কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন গড়ে নয় গ্রাম লবণ গ্রহণ করছেন। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রা (পাঁচ গ্রাম)। এর ফলে প্রতিবছর দেশে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘বিশ্ব লবণ সচেতনতা সপ্তাহ ২০২৫’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের লবণ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সমন্বয়ক ডা. আহমাদ খাইরুল আবরার। খবর বাসসের। প্রবন্ধে বলা হয়, উচ্চমাত্রায় লবণ গ্রহণের একটি বড় উৎস হলো প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই অতিরিক্ত লবণ নীরব ঘাতকের মতো দেশে হৃদরোগসহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগের মহামারী সৃষ্টি করছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে অবিলম্বে একটি সমন্বিত জাতীয় লবণ গ্রহণ হ্রাস কৌশল গ্রহণ করা এবং খাদ্যের মোড়কের সামনে ‘ফ্রন্টঅবপ্যাক লেবেলিং’ বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, লবণ শুধু স্বাদের উপাদান নয়, অতিরিক্ত গ্রহণ করলে এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগসহ অসংক্রামক রোগের বড় ঝুঁকি তৈরি করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সরকার বদ্ধ পরিকর। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত কার্য পরিকল্পনা রয়েছে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে চলেছে। সম্প্রতি অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উদ্যোগে জাতীয় লবণ গ্রহণ হ্রাস কৌশল প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী বলেন, জন স্বাস্থ্য রক্ষায় খাদ্যভ্যাস পরিবর্তনের বিকল্প নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশুটকিতে কীটনাশকের ব্যবহার, ৮৭ শতাংশ নিরাপদ
পরবর্তী নিবন্ধবোয়ালখালীর ৬১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ