প্রকৃতির সান্নিধ্যে

গৌতম কানুনগো | বুধবার , ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

সাহিত্য সংস্কৃতি ইতিহাসঐতিহ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম একাডেমির মহাপরিচালক প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরীর নেতৃত্বে ২২ নভেম্বর পটিয়ার বিটায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চমৎকার আনন্দ আয়োজন। সকালেই বিটার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম শহর থেকে যাত্রা শুরু। বিটা সংস্কৃতি ও উন্নয়ন কেন্দ্রের চমৎকার নির্মাণ শৈলী, আকর্ষণীয় প্রধান ভবন, আন্তর্জাতিক ভবন, পাপেট হাউস, বড় বড় পুকুর, কনফারেন্স হল, চারিদিকে সুশোভিত গাছপালা, মাচাং ঘর, সাংস্কৃতিক মঞ্চ ও দোলনা বিটার সৌন্দর্য্যকে অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছে। আয়োজনে ছিল সকাল ও বিকেলের নাস্তা, দুপুরের খাবার। চমৎকার মেনু, উপস্থিত সকলেই খাবারের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। সকলের চারিদিকে ঘুরে বেড়ানো, জমকালো আনন্দ আড্ডা, হৈ চৈ, একের পর এক ফটোসেশন সবাই আনন্দের মুহূর্তটুকু ক্যামেরায় বন্দী করে রাখতে ব্যস্ত, কেউ যেন কারো চেয়ে কম নয়। বিটার নয়নাভিরাম বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখা, দোলনায় দোল খাওয়া, সংগীতশিল্পী ইকবাল হায়দার, আয়েশা হক শিমু, রুনা তাসমিনা, সৌভিক চৌধুরীর দরাজ গলায় গান গাওয়া, মাচাং ঘরে ছবি তোলাএ যেন পরম আনন্দের। অনেকে নেচে গেয়ে পুরো অনুষ্ঠানকে মাতিয়ে রাখেন। অন্যরা করতালি দিয়ে তাঁদেরকে উৎসাহিত করেন। কবি রাশেদ রউফের চারিদিকে সজাগদৃষ্টি। তাঁর আন্তরিকতা ও কর্মতৎপরতা উপস্থিত সকলের প্রশংসা অর্জন করেছে। মধ্যাহ্ন ভোজের পর অনুষ্ঠিত হলো আকর্ষণীয় র‌্যাফেল ড্র। এ পর্বটি সঞ্চালনার সময় রাশেদ রউফ বলেন, তিনটা ‘স’ না হলে ভ্রমণ কখনো পরিপূর্ণ হয় না। এগুলো হলোসময়, সুস্থতা ও সামর্থ্য। গানে গানে এবং কবিতার মাধ্যমে অনুভূতি ব্যক্ত করেন সংগীতশিল্পী ইকবাল হায়দার ও কবি মুকেশ চৌধুরী। অনুভূতি ব্যক্ত করেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. সেলিনা আখতার, সাপ্তাহিক স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির, কথাসাহিত্যিক দীপক বড়ুয়া, কবি মর্জিনা আখতার, কবি ও গীতিকার জসিম উদ্দিন খান, কবি ও সাংবাদিক আকাশ আহমেদ, প্রাবন্ধিক রেজাউল করিম স্বপন, সংগঠক জাহাঙ্গীর মিয়া, প্রাবন্ধিক এস. এম. মোখলেসুর রহমান, রন্ধনশিল্পী রোকেয়া হক, কবি মারজিয়া খানম সিদ্দিকা এবং নারীনেত্রী সৈয়দা রিফাত আকতার নিশু। আনন্দ আয়োজনে বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমু, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কেউ কথা রাখেনি’ এবং আবৃত্তিশিল্পী সৌভিক চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ কবিতা আবৃত্তি করে অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেন; হলভর্তি সকলে করতালি দিয়ে তাঁদেরকে অভিনন্দন জানান। সমাপনী বক্তব্যে চট্টগ্রাম একাডেমির মহাপরিচালক প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, সকলের সাথে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। তিনি অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানান। বৈকালিক নাস্তা শেষে অতঃপর সকলে যার যার নির্ধারিত গাড়ির আসনে বসে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। সেদিনের সারাদিনের আনন্দ আয়োজনের সাক্ষী হয়ে থাকলো বিটা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআসুন মানুষ হই
পরবর্তী নিবন্ধদূরের টানে বাহির পানে