অফিসিয়াল এবং ব্যক্তিগতভাবে বছরে ১০/১২ বার বিদেশ যাওয়া গত আট বছর ধরে আমার রুটিন কর্ম তাই কিছু দেশের ভিসা সবসময় অগ্রিম নিয়ে রাখতাম। গতকাল পাসপোর্ট চেক করে দেখলাম আমেরিকার মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ শেষ হবে মার্চে সেই সাথে শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মালেশিয়া, চায়না, ভারতের ভিসার মেয়াদও শেষ। তিনবার টিকেট কনফার্ম করেও আমেরিকা যেতে পারিনি তাই এবছর জুলাইতে সিদ্ধান্ত ছিল আমেরিকা হয়ে আরও কয়েকটা দেশ ঘুরে আসব, তাতো হলো না বরং ভিসার মেয়াদ শেষ হবার পথে যদিও আমেরিকার এ্যাম্বেসী এঙটেশান হয়ত দেবে কিন্ত কবে যাব তার নিশ্চয়তাতো করোনা মহামারিতে বাঙবন্দি। ভারত যাব চেকআপে তাও অনিশ্চিত, কারণ এ পরিস্থিতিতে বিদেশ সফরে মন সায় দিচ্ছেনা আবার যাওয়াও জরুরি। আসলে এই মহামারি সারা পৃথিবীকে খুব দ্রুত থামিয়ে দিয়েছে হয়ত এমন কোন বার্তা দিতে চেয়েছে যে মানুষ হিসেবে আমরা যত কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তা আসলেই প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে তাই আমরা পারি। আমাদের সমস্ত দক্ষতা এবং জ্ঞান বিজ্ঞান সবকিছুই আসলেই প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করে আমরা তা বাস্তবায়ন করি আর অহংকার করে বলি আমরা এটা করেছি আমরা এটা করতে পারি। এই মহামারিতে জানান দিল আসলেই আমরা কিছুই করতে পারিনা। আমেরিকার বিখ্যাত একটা ডাটা সায়েন্স কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ হচ্ছিল গত কয়েকমাস ধরে তারা এমন কিছু টেকনোলজির সাথে আমাকে পরিচয় করাল যা দেখে আমার চোখ কপালে উঠছে বারবার যেমন আমি যদি কোন ই কমার্স পেইজে ভিজিট করি ওখানে প্রথমেই আমার প্রয়োজনীয় জিনিসটাই আমাকে অফার করছে শুধু নয়, আমি কোন ব্যবসার প্লান নিয়ে আলাপ করলে টেকনোলজি আমাকে বলে দিচ্ছে এতে আসলেই আমার লাভ বা লোকসান বা আসলেই আমি তা করতে পারব কিনা বা কোনভাবে করব! তারমানে কি টেকনোলজি আমার মনের ভাষা বুঝতে পারে? আসলেই না, আমাদের মনও হয়ত নিয়ন্ত্রণ করে প্রকৃতি এটাই সত্য। প্রকৃতি এই অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণ শুধুমাত্র স্রষ্টার কাছে আর কিছুটা আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে মানুষের হাতে যা হয়ত ভাল এবং খারাপ দুভাবে মানুষ ব্যবহার করে । এতবড় মহামারি আরও ১০০ বছর আগে হয়ত হয়েছিল হয়ত আরো ১০০ বছর পরে আবার হবে কিন্ত এই ১০০ বছরের জন্য যে শিক্ষা প্রকৃতি দিতে চেয়েছে তা মানুষ হিসেবে আমরা হয়ত কয়দিন পরেই ভুলে যাব আবার আগের মতই আমরা চাইব সবকিছু নিজের মত নিয়ন্ত্রণ করতে। সম্পদের পাহাড়ে উঠতে এটাও হয়ত আমরাই পারি কারণ মানুষকে স্রষ্টায় সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবেই তৈরি করেছেন।