সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের শ্বশুর বাড়ি থেকে সরকারি গাছ উদ্ধার শীর্ষক দৈনিক আজাদীতে ৩০ আগস্ট (শুক্রবার) প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করা হয়েছে।
হাছান মাহমুদের শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন এক প্রতিবাদলিপিতে বলেন, ওখান থেকে কোন সরকারি গাছ উদ্ধার করা হয়নি। এগুলো আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তায় লাগানো গাছ।
তিনি বলেন, প্রকৃত সত্য হলো বিগত ৩০/৩৫ বছর আগে এলাকার ওই সময়কার চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান পারিবারিক সম্পত্তির উপর দিয়ে একটি রাস্তা তৈরী করে দেন। রাস্তাটি তাঁর বড় জেটার নামে। রাস্তা তৈরীর পরের বছর তিনি ওখানে বৃক্ষরোপণ করেন।
সেই তখন থেকে আজ পর্যন্ত এই রাস্তার, উন্নয়ন, মেরামত সংস্কার সবই পারিবারিকভাবে করা হয়। রাস্তাটি লাগানো ৩০/৩৫ বছর আগের গাছগুলো কখনো কাটা হয়নি। তবে এবার ঝড়ের সময় বেশ কয়েকটি গাছ পড়ে যায়, আগেও কয়েকটি গাছ মরে গিয়েছিল।
পড়ে থাকা গাছের কারনে বন্যার সময় রাস্তাটিতে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে এলাকার চেয়ারম্যান এবং মেম্বার আমাকে গাছগুলো সারানোর ব্যবস্থা করতে বললে আমি মরে যাওয়া এবং পচে থাকা গাছগুলো কেটে বাড়িতে এনে রেখে দিই। এসব কাঠ স্থানীয় স্কুল, মাদ্রাসা এবং মসজিদের উন্নয়নে ব্যবহার করার কথা।
গাছ কেটে পাওয়া লাকড়িগুলো হয় এলাকার গরীব লোকজনকে বিলিয়ে দেয়া হয়েছে। মন্নান পরিবারের কোন সদস্য কোন দিন উনাদের জ্বালানি হিসেবেও এসব কাঠ ব্যবহার করেন নি বলেও হেলাল উদ্দীন প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করেন।
ড. হাসান মাহমুদের কোন শ্যালক দেশেই থাকেন না। তারা সবাই বিদেশে থাকেন। প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।