পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তন আগামীকাল (২৬ নভেম্বর)। শনিবার দুপুর ১২টায় নগরের টাইগারপাস নেভি কনভেনশন সেন্টারে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। সমাবর্তনে ইউনিভার্সিটির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ মোট ৫ হাজার ৬৪৯ জন শিক্ষার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
এছাড়া ১৪ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল ও ১৩ জন শিক্ষার্থীকে ফাউন্ডার গোল্ড মেডেল প্রদান করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরল আনোয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে এবারের সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বিশেষ অতিথি থাকবেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা একেএম এনামুল হক শামীম। সমাবর্তন বক্তা থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস। অতিথি থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান তাহমিনা খাতুন।
উপাচার্য বলেন, ‘টার্নিং ড্রিমস ইনটু রিয়েলিটি’ প্রতিপাদ্যে ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১ হাজার ৫১৭ জন শিক্ষার্থী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছে।
তিনি জানান, ২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন লাভ করে। এই ধারাবাহিকতায় ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি’র নেতৃত্বে ২০১৩ সালের ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। ওই সময় ছয়টি প্রোগ্রামে ৬৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই ইউনিভার্সিটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। শিক্ষক ছিলেন ৬ জন। আর ৪ জন কর্মকর্তা ও ১ জন কর্মচারী। তবে বর্তমানে ইউনিভার্সিটির ১৭০ জন শিক্ষক, ৫ হাজার ৩৩৬ জন শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১৯০ জন। ৪টি অনুষদের অধীনে ১০টি বিভাগের ১৩টি প্রোগ্রাম নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক জুয়েল দাশের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মাঝে পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সদস্য অধ্যাপক ড. এম. মজিবুর রহমান, এহসানুল হক রিজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. গনেশ চন্দ্র রায়, সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মফজল আহমদ, রেজিস্ট্রার মো ওবায়দুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. সেলিম হোসেন, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
