সীতাকুণ্ডে ফসলে পোকা দমনে উপজেলায় ২৮টি ব্লকে ২৮০টি আলোক ফাঁদ স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে ভাটিয়ারীসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২১টি ব্লকে এ আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। এতে সুফল পাবেন উপজেলার ১৯ হাজারও বেশি কৃষি পরিবার। আলোক ফাঁদ স্থপনের মাধ্যমে পোকা শনাক্তকরণে মাঠে নেমেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় ভাটিয়ারী জাহানাবাদ ব্লকের খাদেম পাড়া এলাকায়ও আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। এখানে দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিরিন আকতার বলেন, ফসলে পোকা দমনে আলোক ফাঁদ স্থাপনে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সারা পাওয়া গেছে। আর ক্ষতিকারক পোঁকাগুলো আলোক ফাঁদে আটকা পড়ছে। তাই সন্ধ্যার পর কৃষকদের সাথে নিয়ে পোকা সনাক্তকরণ এবং পোকা মাকড় দমনের কাজে বের হতে হয় আমাদের।
এদিকে স্থানীয় কৃষক সাহাবুদ্দীন, সোহাগ, বাদশাহ মিয়া, শিমুলসহ অনেকে জানান, আলোক ফাঁদ স্থাপনের মধ্যদিয়ে আমরা সদ্য রোপন করা আমন ধানে ও সবজিতে পোকা দমনে অনেক উপকার পাচ্ছি। আগে সবজিতে পোকা দমনে কীটনাশক ব্যবহার করতে হতো। এখন আর জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়না। সন্ধ্যার পর আলোক ফাঁদে আটকা পড়ছে অসংখ্য ক্ষতিকারক পোকা মাকড়। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রতন কান্তি দত্ত ও উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র নাথ বলেন, আলোক ফাঁদ স্থাপনে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহের সঞ্চার ঘটেছে। অধিকাংশ পোকাই আলোর প্রতি সংবেদনশীল। সন্ধ্যা বেলায় আলোর ফাঁদ স্থাপন করলে আলোতে ক্ষতিকারক এবং উপকারী পোকা মাকড় আলোক ফাঁদে আসে তখন আলোক ফাঁদ স্থাপনকৃত মাঠের পোকার উপস্থিতি নির্ণয়ের মাধ্যমে পোকা দমন ব্যবস্থা নেওয়া যায়। পুরো উপজেলাতে আলোক ফাঁদ ব্যাপকভাবে স্থাপনের কাজ চলছে।