বিশ্বের অনেক দলের বোলিং আক্রমণেই একজন থাকেন কেন্দ্রে। ইনিংসের শুরুতে, মাঝে কিংবা শেষে উইকেটের প্রয়োজনে বল তুলে দেওয়া হয় তার হাতে। বাংলাদেশ দলেও তেমন কাউকে খুঁজছেন রাসেল ডোমিঙ্গো। জাতীয় দলের প্রধান কোচের নজর আপাতত তাসকিন আহমেদ ও সৈয়দ খালেদ আহমেদের দিকে। ডমিঙ্গো আলাদা করে বলছেন আগ্রাসী ঘরানার বোলারদের কথা। গতি ও বাউন্স দিয়ে যারা যে কোনো সময় বদলে দিতে পারেন খেলার মোড়। শরীরী ভাষায় কাঁপন ধরাতে পারেন ব্যাটসম্যানদের বুকে। যখন-তখন ম্যাচে রাখতে পারেন ছাপ। চলতি প্রেসিডেন্ট’স কাপে তাসকিন ও খালেদের বোলিং দেখে আশায় বুক বাঁধছেন ডমিঙ্গো। বিশ্ব ক্রিকেটের সমসাময়িক আরও কয়েকজন বোলারের উদাহরণ দিয়ে বাংলাদেশ কোচ বললেন তার রোমাঞ্চের কথা। তিনি বলেন আমি শুরু থেকেই বলছি কিছু ভালো ফাস্ট বোলার গড়ে তোলাটা জরুরি। তাদেরকে যত বেশি সম্ভব খেলাতে হবে। বিশেষ করে দেশের বাইরে লড়াই করতে হলে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে। তাসকিন যেভাবে বল করছে তা খুব আশা ব্যাঞ্জক। সব আন্তর্জাতিক দলেই এমন একজন ফাস্ট বোলার থাকে দলের উইকেট প্রয়োজন হলে তাকে আক্রমণে আনা হয়। ইংল্যান্ড আনে আর্চারকে। অস্ট্রেলিয়া স্টার্ককে। দক্ষিণ আফ্রিকা রাবাদাকে আর ভারত বুমরাহকে। আমাদের হাতেও এখন সেরকম বিকল্প আছে। খেলায় যখন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় তখন কেউ এসে খুব গতিময় বল করতে পারে। তাসকিন বা খালেদরা বাউন্সারে ব্যাটসম্যানকে ভড়ক দিতে পারে। আমার জন্য এটা খুবই সন্তুষ্টির। শুধু তাসকিন ও খালেদই নয়, প্রেসিডেন্ট’স কাপে ভালো বোলিং করেছেন মোাফিজ, রুবেল, সাইফ উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, আবু জায়েদ চৌধুরি, আল আমিন হোসেন, সুমন খানও। মন্থর উইকেটেও এত জন পেসারের ভাল বোলিং আশাবাদী করে তুলেছে ডোমিঙ্গোকে। তিনি বলেন প্রেসিডেন্ট কাপের একটি প্রাপ্তির কথা বলতে হলে আমি ফাস্ট বোলারদের পারফরম্যান্সের কথা বলব। এই টুর্নামেন্টে তারা যেভাবে বোলিং করেছে তা আমাকে আশাবাদী করে তুলেছে। মনে রাখতে হবে ম্যাচ জিততে হলে ১০ উইকেট বা ২০ উইকেট নিতে হয়।