লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং এর উদ্যোগে সমপ্রতি পেকুয়া উপজেলার রাজাখালি গ্রামে ফৈজুন্নেসা প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজাখালি ফৈজুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয় ও রাজাখালি বেশারাতুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য নুহা পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়। ক্লাব প্রেসিডেন্ট লায়ন রেবেকা নাসরিনের উদ্যোগে এবং ব্যবসায়ী এ জে এম গিয়াসউদ্দিনের সহযোগিতায় স্থানীয় পাঠক ও শিক্ষার্থীদের জন্য জন্য এই পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এতে একসাথে প্রায় ১০০ পাঠকের জন্য আসন ব্যবস্থা রয়েছে এবং গল্প, উপন্যাস, সাহিত্য, নাটক, ইতিহাস, সংস্কৃতি, ছোটগল্প, কামিল পাঠ্যানুক্রমের হাদিসসহ বিভিন্ন রকম প্রায় হাজারের অধিক বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে। উল্লেখ্য, রাজাখালি ফৈজুন্নেসা প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজ প্রতিবছর পেকুয়া উপজেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পাশের দিক থেকে প্রথম স্থান ধরে রাখে এবং কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্টে শ্রেষ্ঠ বেসরাতুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা। এ উপলক্ষে ক্লাব প্রেসিডেন্ট লায়ন রেবেকা নাসরিনের সভাপতিত্বে ও ক্লাব সেক্রেটারি লায়ন বাসুদেব সিনহার সঞ্চালনায় পাঠাগার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা গভর্নর লায়ন মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ অপু। উদ্বোধক ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক ও পিডিজি ফোরামের চেয়ারম্যান লায়ন এম এ মালেক। উপস্থিত ছিলেন পিডিজি লায়ন কামরুন মালেক, লায়ন্স জেলা ক্যাবিনেট সেক্রেটারি লায়ন আবু মোরশেদ, জিএলটি লায়ন অশেষ কুমার উকিল, জিইটি লায়ন জাহনারা বেগম, রিজিওন চেয়ারপার্সন –১ লায়ন নিশাত ইমরান ও রিজিওন চেয়ারপার্সন নীলাদ্রি দে। উপস্থিত ছিলেন লায়ন শাহেলা আবেদিন, লায়ন মোহাম্মদ আইয়ুব, লায়ন অনুপম মজুমদার, লায়ন বিপ্লব চক্রবর্তী তুহিন, লায়ন রোকেয়া জামান , লায়ন শিহাব মালেক, লায়ন নূর আক্তার, লায়ন নুরুল আবসার তালুকদার, লায়ন জেরিন আরা, লিও মিনহাজুর রহমান শিহাব, লিও শাহাদাত হোসেন সাইফ, ইমরুল কায়েস অপু প্রমুখ। প্রধান অতিথি বলেন, নুহা পাঠাগার স্থানীয় পাঠক ও শিক্ষার্থীদের শেখার পরিবেশকে আরও সমৃদ্ধ করবে। শিক্ষার আলোই একটি সমাজকে আলোকিত করতে পারে। তিনি আরও বলেন, এখানে গল্প, উপন্যাস, ইতিহাস, বিজ্ঞানসহ নানা বিষয়ের বই শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস বাড়াবে।
দৈনিক আজাদী সম্পাদক ও পিডিজি ফোরামের চেয়ারম্যান লায়ন এম এ মালেক বলেন, শিক্ষায় বিনিয়োগই সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সেবা। তিনি আরও বলেন, নুহা পাঠাগার কেবল একটি লাইব্রেরি নয়, এটি একটি সামাজিক আন্দোলন যেখানে বই হবে পরিবর্তনের হাতিয়ার। আমরা চাই, এখানকার শিশুরা বইয়ের মাধ্যমে বিশ্বকে জানুক, চিনুক, এবং একদিন নিজেরাও সমাজের পরিবর্তন–স্রষ্টা হয়ে উঠুক।
লাইব্রেরির সভাপতি ও লায়ন রেবেকা নাসরিন বলেন, নুহা পাঠাগার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য হলো গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং তাদের কল্পনাশক্তি, সৃজনশীলতা ও মানবিক মূল্যবোধকে বিকশিত করা। আমাদের বিদ্যালয় প্রতিবছর যেমন ফলাফলে প্রথমস্থান ধরে রাখে, তেমনি এই পাঠাগার আমাদের শিক্ষার্থীদের মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমি বিশ্বাস করি, এই পাঠাগার রাজাখালির শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার এক নতুন জানালা খুলে দেবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












