কক্সবাজারের পেকুয়ায় হরতালের সমর্থনে ব্যাপক গাড়ী ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এ সময় হরতাল সমর্থনকারী বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এতে উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুটসহ ৬ বিএনপির কর্মী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
অপরাপর আহতদের নাম পাওয়া যায়নি। এরমধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে পুলিশ দাবি করেছে এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। তবে তাদের নাম প্রকাশ করেনি তারা।
জানা যায়, সকাল থেকে পেকুয়া সদর, পেকুয়া বাজার, সিকদার পাড়া, মেহেরনামা, বাঘগুজারা, মগনামা, টইটংসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হরতালের সমর্থনে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং শুরু করে।
এ সময় অন্তত ৩০ টির বেশী গাড়ী ভাংচুর করা হয় বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এদিকে মেহেরনামা এলাকায় নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বহনকারী একটি ম্যাজিক গাড়ী হরতাল সমর্থনকারীরা খাদে ফেলে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে বিকেল ৪ টার থেকে পেকুয়া সিকদার পাড়া এলাকায় আইনশৃঙ্খা বাহিনীর সাথে হরতাল সমর্থকদের ৩ ঘন্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। পরে বিকেল ৫ টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি বাড়িয়ে ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশে গুলি চালানো হয়।
এ সময় উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট সহ অন্তত ৬ বিএনপির নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখার সময়ও ওই এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল।
আহত যুবদল সভাপতি কামরান জাদিদ বলেন, আমরা হরতালের সমর্থনে রাস্তায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিলে বিজিবি অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে। এতে আমি সহ কয়েক জন নেতা কর্মী আহত হয়।
পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) সুদিপ্ত শেখর ভট্টাচার্য বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে মাঠে রয়েছে। নাশকতাকারীরা বিভিন্ন অপতৎপরতা চালালেও পুলিশ তাদেরকে টিকতে দিচ্ছেনা।