পেকুয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরীর বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে স্থানীয়রা এই মানববন্ধন করেন। স্থানীয় স্বাস্থ্য সচেতন সমাজের ব্যানারে আয়োজিত এই মানববন্ধনে পেকুয়ার নানান শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ডাক্তার মহিউদ্দিন মাজেদ আসার পর থেকে পেকুয়া হাসপাতালের চেহারা বদলে গেছে, এখন মানুষ পেকুয়া হাসপাতালে সত্যিকারের সেবা পাচ্ছে। তারা মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরীর বদলির আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে স্বপদে বহাল রাখার জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর তাকে পদোন্নতি দিয়ে অন্যত্র বদলি করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। বদলি আদেশের খবরে ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে ডাক্তার মোঃ মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী যোগদান করেন। ৩ লক্ষ জনসংখ্যার এই অঞ্চলে চিকিৎসা সেবায় পিছিয়ে থাকলেও ডাক্তার মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী যোগদানের পর পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে।
প্রসূতিদের চিকিৎসা সেবা ও অত্যাধুনিক ডেলিভারি সেন্টার, সারাদেশে প্রথম বারের মত বৈকালিক সেবা, কমিউনিটি আই কেয়ার সেন্টার, ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সী সার্ভিস সেন্টার, ১১টি অত্যাধুনিক কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আল্ট্রাসনোগ্রাফি চালু করেন তিনি। আগে এ সেবা পেতে সুদূর চট্টগ্রাম যেতে হতো।
২০১৯ সালে আইসিটি মন্ত্রণালয় ইনোভেশন কনটেস্ট কনসেপ্ট আহবান করেন। তিনি ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে মোবাইল আলট্রাসাউন্ড সেবা চালুর ইনোভেশন কনটেস্টেরর উপর একটি কনসেপ্ট শেয়ার করেন, তারই ধারাবাহিকতায় সেই কনসেপ্ট অনেক যাচাই বাছাই করে ২০২৪ সালে ইউনিয়ন পর্যায়ে সারা দেশে মোবাইল আলট্রাসাউন্ড সেবার আওতায় নিয়ে আসে সরকার এবং পেকুয়ায় প্রথমবারেমত এ সেবা চালু হয়।
তিনি তার কনসেপ্টের জন্য আইসিটি মন্ত্রণালয় হতে পুরস্কৃত হন।