দুদিন উত্তাপ ছড়ানোর পর চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দর কিছুটা নিম্নমুখী। গতকাল আড়তে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। এছাড়া তুলনামূলক নিম্নমানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম মানভেদে ৫–১০ টাকা কমেছে।
চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আছে, কিন্তু ক্রেতা নেই। দাম আরো বাড়তে পারে এই আশঙ্কায় অনেকে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ কিনেছেন। তাই এখন বাজার একটু স্লো গতিতে চলছে।
জানা গেছে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারে বড় প্রভাব ফেলে। খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস আজাদীকে বলেন, পেঁয়াজের বাজার আজকে (গতকাল) নিম্নমুখী। ক্রেতা নেই। প্রত্যেক দোকান ও গুদামে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে।
চাক্তাই আফরা ট্রেডিংয়ের মালিক মো. আলাউদ্দিন বলেন, বাজারে বেচাবিক্রি একদম কম। আবার পেঁয়াজ বেশি। তাই দামও কম।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার আগে দেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে।