নিরাপত্তাকর্মীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমান ওঠেই পড়েছিল জুনায়েদ। কিন্তু বিষয়টি চোখে পড়ার পরই জুনায়েদকে বিমান থেকে নিচে নামিয়ে আনা হয়। যে কারণে বিমানে চড়া বা আকাশ থেকে পাখির চোখে বাংলার প্রকৃতি দেখার সুযোগ হয়নি তার। তাতে কী। সেই স্বপ্নবাজ শিশুর অধরা স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এল ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য সামগ্রী উৎপাদনকারী একটি গ্রুপ। এই কোম্পানির পৃষ্ঠপোষকতায় জুনায়েদ ঢাকা থেকে বিমানে চড়ে যায় পর্যটন শহর কক্সবাজার। সেখানে সে পেয়েছে ঘুরে বেড়ানো এবং অভিজাত হোটেলে রাত্রি যাপনের সুযোগ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে একটি ফ্লাইটে ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে গিয়ে পৌঁছায় জুনায়েদ মোল্লা ও তার চাচা ইউসুফ মোল্লা। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হোটেলে।
জুনায়েদ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পারইহাটি গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী ইমরান মোল্লার ছেলে। তবে সে চাচার সঙ্গে ঢাকায় থাকত। জুনায়েদ বলে, ‘বিমানে চড়ার ইচ্ছে আমার অনেক দিনের। তাই সেদিন সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানে উঠে পড়েছিলাম। কিন্তু আমাকে নামিয়ে দেয় তারা। আজ বিমানে চড়ার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’
জুনায়েদের চাচা ইউসুফ মোল্লা বলেন, ভাতিজার কারণে আমারও জীবনে প্রথম বিমানে চড়ার সুযোগ হল। আমার ভাতিজার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তবে ভাতিজার কারণে চাকরি হারানো নিরাপত্তাকর্মীরা যেন চাকরি ফিরে পায়, সরকারের কাছে সে আবেদন জানাই।
প্রসঙ্গত, ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নিরাপত্তাবেষ্টনী ফেরিয়ে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ওঠে পড়েছিল শিশু জুনায়েদ। সে পাসপোর্ট কিংবা বোর্ডিং পাস ছাড়াই ১৪টি নিরাপত্তা স্তর পার হয়ে ওই বিমানে উঠে প্রায় ঘণ্টা খানেক বসে থাকে। কেবিন ক্রু তাকে সিটে বসতে দিলেও পরে তার কাছে ভিসা–পাসপোর্ট পাওয়া না গেলে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি বিমান থেকে নামিয়ে পুলিশের জিম্মায় দেয়।