পুলিশের হাতে কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

র‌্যাব পুনর্গঠনে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে

| মঙ্গলবার , ১৩ মে, ২০২৫ at ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

গেল বছর জুলাইঅগাস্টের আন্দোলন দমনে নির্বিচার অস্ত্র ব্যবহার করে ভাবমূর্তির সংকটে থাকা পুলিশ বাহিনীকে আর কোনো মারণাস্ত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির নবম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সভার শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসে তিনি বলেন, পুলিশের হাতে যেন আর কোনো মারণাস্ত্র না থাকে, এগুলো তাদের জমা দিয়ে দিতে হবে। খবর বিডিনিউজের। কোনো মারণাস্ত্র আর অস্ত্র পুলিশের হাতে থাকবে না। কিন্তু আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) হাতে থাকবে। তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন বলে জানান তিনি। এপিবিএনকে মারণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এপিবিএনের কাজ কিন্তু অন্য পুলিশের থেকে একটু ডিফরেন্ট। পুলিশকে মরণাস্ত্র দেওয়া যাবে না কিন্তু যখন কোনো অভিযানে যাবে তখন পুলিশ কী করবে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি একটা কথা বলেছি এপিবিএনের কাছে মরণাস্ত্র থাকবে। সাধারণ অপারেশনের ক্ষেত্রে মরণাস্ত্র দরকার নেই। রাইফেল থাকবে না তা নয়, রাইফেল তো থাকবেই।

আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, আজকে মিটিংয়ে একটা ডিসিশন হয়েছে। সিদ্ধান্ত বলার সাথে সাথে তা হয়ে যায় না। একটু সময় লাগবে। এছাড়া সভায় র‌্যাব পুনর্গঠনের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “র‌্যাব পুনর্গঠন কীভাবে হবে, এই নাম থাকবে কি না, এই ড্রেস থাকবে কি না, এই ফোর্স থাকবে কি না, কীভাবে অর্গানাইজ হবেএজন্য আমরা ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছি। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিতে বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা থাকছেন। পাঁচজনের এই কমিটি প্রয়োজন মনে করলে কোঅপ্ট করতে পারবে, বলেন উপদেষ্টা। ভারত থেকে লোকজনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি আলোচনা হয়েছে আজকের বৈঠকে সেটা হচ্ছে ইন্ডিয়া বেশকিছু পুশইন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিক বেশি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগর যুবলীগ নেতা সাজ্জাদ গুলশানে গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধফ্লাইওভার থেকে নামার সময় বাস চাপা, মোটরসাইকেল আরোহী নিহত