পুলিশ ভোটার ডাকছে, জীবনেও শুনিনি : মির্জা আব্বাস

| বৃহস্পতিবার , ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয় আসনে উপনির্বাচনে ভোটারদের অনাগ্রহের বিষয়টি তুলে ধরলেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস।

গতকাল বুধবার যে সময় দেশের তিন বিভাগের ছয় আসনে ভোট চলছিল, সে সময় ঢাকায় বিএনপির ‘নীরব পদযাত্রা’ কর্মসূচিতে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। এই কর্মসূচিতে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় আজ উপনির্বাচন হচ্ছে। সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রে ভোটার নাই। মিডিয়াতে প্রচার হচ্ছেব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি কেন্দ্রে তিন/চারটি কুকুর ঘুমিয়ে আছে। আল্লাহ বাঁচাইছে যে, কুত্তার ভোট দেওয়ার অধিকার নাই। যদি থাকত তাহলে কী সর্বনাশটা হয়ে যেত এখন! এখন একটা খবর শুনলাম, একটা কেন্দ্রে কেনো ভোটার যাচ্ছে না। পুলিশ নাকি মাইকিং করতেছে, ভোটার ডাকতেছে। আমি আমার জীবনে শুনি নাই ভাই এ রকম কথাঅর্থাৎ পুলিশ মাইকে ডাকছে, ভোট দিতে আসেন। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। খবর বিডিনিউজের।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মানতে সরকারকে চাপে ফেলার লক্ষ্যে সংসদ থেকে বিএনপি পদত্যাগ করায় সংসদ নির্বাচনের এক বছর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ২ ও ৩, বগুড়া৪ ও ৬, ঠাকুরগাঁও৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া২ আসনে উপনির্বাচন করতে হচ্ছে। সবগুলো আসনেই সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে।

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনাসহ ১০ দাবিতে বিএনপির চার দিন ‘নীরব পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে ঢাকায়। শেষ দিনের কর্মসূচিতে গতকাল দুপুরের পর কমলাপুরে সিপাহী বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম থেকে মালিবাগ রেলগেইট পর্যন্ত পদযাত্রা করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। কর্মদিবসে এই কর্মসূচির কারণে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। পদযাত্রা উপলক্ষে কমলাপুর স্টেডিয়ামখিলগাঁও সড়কে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

বিএনপির এই পদযাত্রা কর্মসূচির কারণে আওয়ামী লীগের ভিত ‘নড়বড়ে হয়ে গেছে’ বলে মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আমরা যদি চিৎকার করি, আওয়ামী লীগ ভয় পায়, আমরা যদি নীরব থাকি, আওয়ামী লীগ ভয় পায়। আমরা নীরব পদযাত্রা করার কথা বলেছি, কিন্তু বিএনপির পদযাত্রায় রাস্তা প্রকম্পিত হচ্ছে, তাতে তারা ভয় পেয়ে গেছে। একেকজন চাটুকার একেক রকম কথা বলছে। কেউ বলছে বিএনপির মরণ যাত্রা, কেউ বলছে এটা, কেউ বলছে সেটা। আওয়ামী লীগ কিন্তু পায়ের আওয়াজ পেয়ে গেছে। ওই যে কারা আসছে? এরা কারা? এরা গণতন্ত্র চায়, এরা ভোটে অধিকার চায়, এ দেশের গণমানুষের অধিকার আদায় করতে চায়। আমি নেতাকর্মীদের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস দেখছি, আমি বিশ্বাস করি, এই সরকারের পতন ইনশাল্লাহ অবশ্যই আমরা ঘটাব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিংহ রাসেলের জীবনাবসান সঙ্কটাপন্ন টুম্পাও
পরবর্তী নিবন্ধঅ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ