জুলাই অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শচীন মৌলিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের সময় শচীন মৌলিক রমনা ট্রাফিক বিভাগে অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অভ্যুত্থানের পরে তাকে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি–৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন–এপিবিএনে সংযুক্ত করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো.সেফাতুল্লাহ এই পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ–ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপ–পুলিশ কমিশনার মো. তারেক জুবায়ের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর সরকার তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির মহালছড়ি থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা–ডিবি সদস্যরা শচীন মৌলিককে আটক করেন।
তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট তেজগাঁও থানাধীন ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার ও আশেপাশের এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে ছাত্র–জনতার ওপর শচীন মৌলিক মরণাস্ত্র ব্যবহার করেন।