পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে পুলিশের সঙ্গেই প্রতারণা

আজাদী অনলাইন | শনিবার , ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ at ৭:০১ অপরাহ্ণ

পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে উক্ত থানা এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার নাম্বার সংগ্রহ করে, পরে এসব নাম্বারে কল দিয়ে ঐ প্রতারক নিজেকে এসপি, এডিশনাল এসপি পরিচয় দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে স্থানীয় বিকাশ এজেন্টের ব্যক্তিগত নাম্বার সংগ্রহ করে তাদের কাছ থেকে কৌশলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন।

তবে শেষ রক্ষা হলো না মো. সাগর ওরফে রিমন (২৩) নামে এই প্রতারকের। গ্রেপ্তার হওয়ার পর এমন প্রতারণা কৌশলের কথা স্বীকার করেন প্রতারক সাগর।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাতে নাওগাঁ জেলার মান্দা থানা ও রাজশাহী জেলার মোহনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মো. সাগর প্রকাশ রিমনকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

এ সময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও সিম জব্দ করা হয়। প্রতারক না মো. সাগর ওরফে রিমন নওগাঁ জেলার মান্দা থানার বাংড়া এলাকার মো. হাসানের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম সিএমপি কাউন্টার টেররিজম বিভাগ ডিসি মোহাম্মদ লিয়াকত আলী খান (পিএসসি) দৈনিক আজাদীকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি প্রতারণা চক্রের একজন চক্রিয় সদস্য, গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিএমপি, রাজশাহী, নাঁওগা, পাবনা জেলায় বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য, জালিয়াতি, প্রতারণা সংক্রান্তে ৫ টি মামলা তদন্তাধীন ও আদালতে বিচারধীন রয়েছে।

উক্ত ঘটনায়ও সদরঘাট থানায় ১৭০, ৪০৬, ৪২০ ধারায় ১৮৬০ সালে পেনাল কোড মতে তদন্তাধীন রয়েছে। এই প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।

সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে পুলিশের সঙ্গেই প্রতারণার চেষ্টা করে সাগর। সে নিজেকে পুলিশ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দেয়। এর আগেও বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে সে। প্রতারণার মাধ্যমে দাবিকৃত অর্থ লেনদেন করে বিভিন্ন বিকাশ ও নগদ একাউন্টের মাধ্যমে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ক্রাইম ইউনিট মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, ঐ প্রতারক নিজেকে পুলিশ এসপি, এডিশনাল এসপি পরিচয়ে প্রথমে বিশ্বাস স্থাপন করে এজেন্টের মোটা অংশ টাকা হাতিয়ে নিতেন। ইতিপূর্বে সে অসংখ ভোক্তভোগী বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পুলিশের সাগর জিজ্ঞাসাবাদে তার অভিনব প্রতারণার বিষয়গুলো স্বীকার করেছেন।

মূলতঃ পুলিশের কর্মকর্তা পরিচয়ে বিকাশ নগদের মধ্যে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা প্রতারককে আসামি করে চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী। মামলাটির দায়িত্বভার পরে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপর। পরে তাদের অভিযানে ধরা পড়ে চক্রের প্রধান সদস্য সাগর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচকরিয়ায় নির্বাচন কেন্দ্রীক সহিংসতায় ৮৬ জনকে আসামি করে দুই মামলা
পরবর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় বন্যহাতির আক্রমণ, বাড়ি ভাঙচুর ও ধান ক্ষেত নষ্ট