বুয়েটের সমীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতে কালুরঘাট সেতু মেরামত করা হবে। এজন্য আগামী মার্চে টেন্ডারে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ইতোমধ্যে বুয়েট বিশেষজ্ঞ দলের কাছ থেকে একটি রিপোর্ট পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর সেতুটি মেরামত করা হবে। চলতি বছরের শেষে মেরামত করা সেতু দিয়ে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানো হবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া আজাদীকে বলেন, বুয়েটের প্রাথমিক একটি রিপোর্ট পেয়েছি। শীঘ্রই আরেকটি রিপোর্ট পাব। বুয়েটের সাথে আমাদের এক বছরের কন্টাক্ট। এর মধ্যে আমাদের কাছে সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। আরেকটি রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা মার্চে টেন্ডারে যাব। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, কালুরঘাট নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালে।
এদিকে দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার অংশে ৫০ কিলোমিটার রেললাইন বসে গেছে। পুরো প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। রেলমন্ত্রী চট্টগ্রামে পলোগ্রাউন্ড মাঠে রেলওয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, চলতি বছরের শেষের দিকে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলবে। কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলার জন্য বিদ্যমান কালুরঘাট সেতুটি মেরামত করতে হবে।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কালুরঘাট সেতুটি মেরামত উপযোগী করে তোলার জন্য বুয়েটকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয় রেলওয়ে। শত বছরের পুরনো সেতুটি মেরামত করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানো যাবে কিনা সমীক্ষা চালানোর জন্য বুয়েটের সাথে ৮ কোটি টাকায় রেলওয়ের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল মাঠ পর্যায়ে প্রায় দেড় মাসের মতো কাজ করেছে। ইতোমধ্যে তারা প্রাথমিক সমীক্ষার একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। শীঘ্রই চূড়ান্ত সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দেবে। এরপর রেল কর্তৃপক্ষ সেতুটি মেরামতের জন্য টেন্ডার আহ্বান করবে।
রেলওয়ের সেতু প্রকৌশলী দপ্তর থেকে জানা গেছে, জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতু দিয়ে আগামী ৫–৬ বছর (নতুন সেতু না হওয়া পর্যন্ত) কক্সবাজার রুটের ট্রেন চলানোর জন্য বুয়েট বিশেষজ্ঞ দলের দেয়া প্রস্তাবনা অনুযায়ী সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেতু দিয়ে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলছে। শুধুমাত্র পটিয়া পর্যন্ত দুটি ডেমু ট্রেন চলাচল করছে। দোহাজারী রুটের সব লোকাল ট্রেন চলাচল প্রায় ২ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।