ইউক্রেনে যুদ্ধ বাঁধিয়ে গোটা বিশ্বের মনোযোগ নিজের দিকে টেনে নেওয়া ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে ধন্দে পড়ে গেছেন পশ্চিমা গোয়েন্দারা। তার মাথায় আসলেই কী চলছে? তিনি কী করতে চাইছেন? পশ্চিমা গোয়েন্দারা তা মরিয়া হয়ে বোঝার চেষ্টা করছেন। তারা বুঝতে চাইছেন তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে। বর্তমান সংকট যেন আরও বিপজ্জনক মোড় না নেয় সেজন্য পুতিনের মনের অবস্থা বুঝতে পারাটা তাদের কাছে এখন ভীষণ জরুরি।
এদিকে আবার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। গত শুক্রবার, প্রথম বার কিনঝল ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্য ছিল পশ্চিম ইউক্রেনে ডেলিয়াটিনের অস্ত্রভাণ্ডার। এ বার লক্ষ্য ছিল মাইকোলাইভের একটি তেলের গুদাম। ক্রাইমিয়া এলাকা থেকে একটি মিগ-৩১ বিমান হতে শব্দের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুতগতি সম্পন্ন ১২৫০
মাইল পাল্লার কিনঝল ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। মুহূর্তে তা ধ্বংস করে দেয় বিরাট জ্বালানি তেলের গুদামকে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ইউক্রেন। তবে কোন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি ইউক্রেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে ইগর কোনাশেঙ্কোভ জানিয়েছেন, দক্ষিণ ইউক্রেনের যাবতীয় সাঁজোয়া গাড়ির জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হত এই গুদাম থেকেই। ক্ষেপণাস্ত্র তা ধ্বংস করে দিয়েছে।
আধ টন ওজনের এই ক্ষেপণাস্ত্র ২৬ ফুট লম্বা। রাশিয়ার দাবি, কিনঝল ক্ষেপণাস্ত্রকে রোখার ক্ষমতা নেই পশ্চিমী কোনও দেশের।
এরই মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব বিশ্বজুড়ে পড়তে শুরু করেছে। পুতিনকে থামাতে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমাবিশ্ব নিজেরাই এখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপে পড়েছে। বলা হচ্ছে, পুতিন হয়ত ভবিষ্যত পৃথিবীর নকশাই বদলে দেবেন। ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন একাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। তাই তার পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে তা জানা গোয়েন্দাদের জন্য ভীষণ কঠিন কাজ। খবর বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার।