রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা দুই দেশের প্রেসিডেন্টদ্বয়ের মধ্যে সরাসরি বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। প্রস্তাবিত এ শীর্ষ বৈঠক শান্তির পথ খুলতে পারে, তিনি এমন সম্ভাবনা দেখছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আবাসিক ভবনগুলোতে তুমুল প্রাণঘাতী গোলাবর্ষণ চলছে। রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভবন ভেঙে পড়ে একজন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।
ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে গতকাল সোমবার ভোরে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে ফের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সম্প্রতি কর্মকর্তারা আশাবাদী মূল্যায়ন দিলেও এসব আলোচনা থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক ফল আসেনি। সব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাশিয়ার নেতা একাই নিচ্ছেন, এমন ইঙ্গিত করে ইউক্রেন বারবার জেলেনস্কি ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সরাসরি আলোচনার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
দৈনিক ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেছেন, আমাদের প্রতিনিধি দলের পরিষ্কার একটি কাজ আছে, তা হল দুই প্রেসিডেন্টদ্বয়ের মধ্যে বৈঠক নিশ্চিত করার জন্য সবকিছু করা। আমি নিশ্চিত, জনতা এই বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করছে। অবশ্যই এটি একটি কঠিন গল্প। একটি কঠিন পথ। কিন্তু এই পথ দরকার। আর ইউক্রেনের জন্য আমাদের লক্ষ্য এই সংগ্রাম, এই আলোচনা থেকে প্রয়োজনীয় ফল পাওয়া। যা শান্তির জন্য দরকার। নিরাপত্তার জন্য দরকার।
কিয়েভের আবাসিক ভবনে গোলাবর্ষণ : ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আবাসিক ভবনগুলোতে তুমুল প্রাণঘাতী গোলাবর্ষণ চলছে। রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভবন ভেঙে পড়ে একজন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। এ পরিস্থিতির মধ্যেও কিছু আশা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে চলছে ইউক্রেনের শান্তি আলোচনা। গতকাল ইউক্রেন জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি, অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহার এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে তারা রাশিয়ার সঙ্গে চতুর্থ দফায় ‘কঠিন’ আলোচনা শুরু করেছে।
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ভিন্ন হওয়ায় আলোচনা চালানো কঠিন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের পক্ষের আলোচক মিখাইলো পোডোলিয়াক। কয়েক সপ্তাহের লড়াই অবসানের লক্ষ্য নিয়ে দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা এই আলোচনা শুরু করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক মুখপাত্র অগ্রগতির আভাস দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিচ্ছে।
একদিনে ৪ রুশ বিমান ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনীয় বাহিনীর : ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী দাবি করেছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় তারা রুশ বাহিনীর চারটি বিমান, তিনটি হেলিকপ্টার ও বেশ কিছু চালকবিহীন আকাশযান ধ্বংস করেছে।
বাহিনীটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রাশিয়ার বিমানক্ষেত্র ও গুদামগুলোতে ‘ধ্বংসাত্মক হামলা’ চালিয়েছেন তারা আর রুশ বাহিনীর সরবরাহে বিঘ্ন ঘটাতে এসব হামলা চালানো হয়েছে। রুশ বাহিনী আরও কোনো অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি এবং ‘এর আগে দখল করা এলাকাগুলোতে অবস্থান জোরদার ও তা ধরে রাখার’ দিকে মনোযোগ দিয়েছে বলেও দাবি করেছেন তারা।