waterফটিকছড়িতে ও রাউজানে একদিনে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ফটিকছড়ি প্রতিনিধি জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টায় ফটিকছড়ি উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের কবির আলী তালুকদার বাড়িতে মাইমুনা নাঈম নাইরা নামে আড়াই বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নাইরা ওই এলাকার মোহাম্মদ নাঈম ও জাহিদা আক্তার দম্পত্তির মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, খেলতে বের হওয়ার পর শিশু নাইরাকে কবির আলী তালুকদার বাড়ির পরিবারের সদস্যরা কোথাও খোঁজ না পেয়ে পুকুরে গিয়ে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক নাইরকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিশুর আত্মীয় মো. রাসেল বলেন, খেলতে গিয়ে আমার মামাতো বোন পুকুরে পড়ে যায়। ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে রাউজান প্রতিনিধি জানান, রাউজানে ঘরের পাশে নতুন খননকৃত পুকুরে পড়ে সুমাইয়া আকতার নামে আড়াই বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টায় রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের নুর সওদাগর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার মো. আলমগীরের মেয়ে। নিহতের আত্মীয় মো. হাসান বলেন, আমার খালু রাজমিস্ত্রীর কন্ট্রাক্টর। বিকালে তিনি কাজে যাওয়ার জন্য বের হন। বাবার পেছনে মেয়েও বেরিয়ে যায়। তার মা ঘর থেকে বের হয়ে খোঁজাখুঁজি করলে ঘরের পাশে নতুন খননকৃত পুকুরে লাশ পাওয়া যায়। পরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেল মৃত ঘোষণা করে। এছাড়া গতকাল বিনাজুরী ইউনিয়নের উত্তর লেলাংগারা গ্রামে পুকুরে ডুবে মারা যায় দুই বছর বয়সী শিশু অনুশকা দে। দুপুর ১১টায় পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয় চিকদাইর ইউনিয়নের করম আলী হাজী বাড়ির তিন বছরের শিশু তাহামনি। নিহত শিশু অনুশকা লেলাংগারা গ্রামের সুমন দে’র মেয়ে ও নিহত তাহামিন চিকদাইর ইউনিয়নের মহিউদ্দিনের কন্যা।