আড়াই মাসেরও কম সময়ে পুঁজিবাজারে প্রায় ১৩ শতাংশ বা ৮১৫ পয়েন্ট সূচক পতনের পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা হস্তক্ষেপ করল। এক দিনে শেয়ার দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে নামানো হয়েছে ৩ শতাংশে। তবে ফ্লোর প্রাইসে থাকা তিনটি কোম্পানির শেয়ারের দর কমতে পারবে না। বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তীব্র হতাশার মধ্যে গতকাল বুধবার এক নির্দেশনায় এই তথ্য জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙচেঞ্জ কমিশন–বিএসইসি। আজ বৃহস্পতিবার থেকেই নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। খবর বিডিনিউজের।
২০২২ সালের ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর শ্রীলঙ্কায় আর্থিক বিপর্যয় এরপর বাংলাদেশে রিজার্ভ ক্ষয়ে আতঙ্কে পুঁজিবাজারে ধস পরিস্থিতি শুরু হয়। এই অবস্থায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সব শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়া হয়। এতে লেনদেন কমে আসে। তবে শেয়ারদর ধরে রাখায় বিনিয়োগকারীদের আর্থিক লোকসান ছিল তুলনামূলক কম। বিএসইসির ঘোষণা ছিল, বাজার স্বাভাবিক গতিতে ফিরলে ফ্লোর প্রত্যাহার করা হবে। তবে ফ্লোর প্রত্যাহারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও স্টক ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশন দাবি জানিয়ে আসছিল। গত ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের পর থেকে বাজারে গতি বাড়ছিল, লেনদেনও বাড়ছিল, সেই সঙ্গে বাড়ছিল শেয়ারদর। এর মধ্যে ১৮ জানুয়ারি হুট করেই এক বিজ্ঞপ্তিতে গত ২১ জানুয়ারি থেকে ৩৫টি বাদে বাকি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়। এরপর কয়েকদিন দরপতন হলেও বাজার ঘুরে দাঁড়ায়। এরপর ধাপে ধাপে তিনটি ছাড়া বাকি সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়। তাৎক্ষণিক ধাক্কা সামলে বাজারে ছিল ঊর্ধ্বগতি। লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সূচক ছুঁয়ে ফেলে ৬ হাজার ৩৯৪ পয়েন্টে। এরপর থেকে যে দরপতন শুরু হয় তার যেন কোনো শেষ নেই। ২৪ এপ্রিল তা নেমেছে ৫ হাজার ৫৭৮ পয়েন্ট। এই কয় দিনে সূচক কমেছে ৮১৫ পয়েন্ট বা প্রায় ১৩ শতাংশ। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির নতুন নির্দেশনায় ‘বিনিয়োগকারী ও বাজারের স্বার্থ’ এবং ‘স্বল্প মেয়াদে’ শব্দগুলোর উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কতদিন এ নির্দেশনা বজায় থাকবে তা স্পষ্ট না করে জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা চলবে।












